অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হ্যাজেলউডের এক মন্তব্য ঘিরে তুমুল আলোচনা। তিনি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফলে প্রভাব রাখতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
সত্যিই কি অস্ট্রেলিয়া এমন কিছু করবে? সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দাবি, হ্যাজেলউড এমন কথা মজা করে বলেছেন। স্কটিশদের বিপক্ষে জিততে তারা সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করবেন।
কামিন্স বলেন, ‘জশির (হ্যাজলউড) সঙ্গে কথা হলো। সেদিন সে মজা করেছে। ব্যাপারটা একটু অপ্রাসঙ্গিকও হয়েছে। আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার চেষ্টাই করব, যারা এখন পর্যন্ত ভালো একটি টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে এবং কাজটা কঠিনও হবে। দলের অংশ হিসেবে আপনি এটা (রান রেট) নিয়ে মজা করতে পারেন। কিন্তু যদি বলেন তাতে আমাদের খেলার ধারা বদলাবে কি না, সেটা অবশ্যই নয়। অন্যদের মতো আমিও কখনো জেতার লক্ষ্য এবং আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছাড়া মাঠে নামিনি।’
ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। ওমানের বিপক্ষে ১৯ বলে ম্যাচ জিতে ইংলিশরা রানরেট বাড়িয়ে নিয়েছে অনেক। কিন্তু ‘বি’ গ্রুপে তারা এখনও অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ডের পেছনে।
৬ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এরই মধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে গেছে। স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫, ইংল্যান্ডের ৩।
স্কটিশরা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার। এই ম্যাচে তারা জিতে গেলে ইংল্যান্ডের সামনে আর কোনো সমীকরণ থাকবে না। হারলে আসবে রানরেটের হিসেব যদি ইংলিশরা তাদের শেষ ম্যাচ জেতে।
ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচ নামিবিয়ার বিপক্ষে। তাই তাদের জয়টা প্রত্যাশিত। কিন্তু এই জয়ও যথেষ্ট হবে না, যদি অস্ট্রেলিয়া কোনো কারণে স্কটিশদের কাছে হেরে যায়।
সবমিলিয়ে স্কটল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি হালকাভাবে নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সরাসরি ম্যাচ পাতানো না হোক, অস্ট্রেলিয়া দুর্বল দল সাজিয়ে একটা খেলা খেলতে পারে। এরই মধ্যে প্যাট কামিন্সের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তারা স্কোয়াডের বাকি সদস্যদের পরখ করে দেখতে পারেন।
সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সুযোগ না পাওয়া ক্যামেরন গ্রিন, জশ ইংলিশ এবং অ্যাস্টন অ্যাগারের সুযোগ মিলতে পারে একাদশে।