দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দী ইংল্যান্ডের অবস্থা নাজুক। অস্ট্রেলিয়ার হাতে সুযোগ আছে ইংলিশদের বিদায়ের পথ পরিষ্কার করে দেওয়ার। সেই সুযোগটা নিতে আপত্তি নেই অজিদের, জানিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার এতে শুধু অস্ট্রেলিয়ারই লাভ দেখেন না, বাকি সব দেশও লাভবান হবে মনে করেন তিনি। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইনও কথা বলেছেন একই সুরে।
বুধবার নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে কোনো পর্যায়ে আপনাকে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে। তারা সম্ভবত নিজেদের দিনে গুটিকয়েক সেরা দলের মধ্যে একটি এবং তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরা আগে ভুগেছি। তো আমরা যদি তাদের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিতে পারি, সেটা আমাদের জন্য বেশ ভালো, তেমনি সম্ভবত বাকি সবার জন্যও।’
বি গ্রুপে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের নেট রাননেট -১.৮। এদিকে তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে স্কটল্যান্ডের নেট রানরেট +২.১৬৪। বাকি দুই ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়ের বিকল্প নেই তাই। তবে ইংলিশরা সেই দুই ম্যাচে জয় পেলেও, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলেই ইংল্যান্ডের বিদায় ঘটে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে। আবার অস্ট্রেলিয়া যদি বড় ব্যবধানে না জিতে, তাহলেও জস বাটলারের দলকে প্রথম রাউন্ড শেষেই বাড়ি ফিরতে হবে।
এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে চান হ্যাজলউড। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অজিরা মাঠে নামার আগে ইংল্যান্ড খেলে ফেলবে তাদের সব ম্যাচ। সে কারণে সমীকরণ জেনে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডকে বিদায় করার ভাবনায় ভালো জয়ের গুরুত্ব ভুলে যাননি হ্যাজলউড।
বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার বলেন, ‘জয় থেকে আত্মবিশ্বাস নেওয়া এবং ভালো করে জেতা, আমার মনে হয় অন্য কোনো দলকে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টার চেয়ে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। (ইংল্যান্ডের) এখনো নিজেদের অনেক কাজ করা বাকি।’
সাদা পোশাকে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া টিম পেইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার জন্য সুযোগ থাকলে কোয়ালিটি দলের অগ্রগতি রুখতে পারাটা স্মার্ট প্লে হবে। সুপার এইটে যাওয়া লড়াইয়ে এখন ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ তাহলে শুধু স্কটল্যান্ডই নয়, অস্ট্রেলিয়াও বটে।’