আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে যে তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, তা ৫ আগস্টে হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান দেশে হয়েছে, সেখানে এদেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপরে আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কী হবে, সেটাই বিষয়।
এ বিষয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারি সে পথ আমাদের উত্তোরণ করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাবো।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন সময় এবি পার্টি আমাদের সাহায্য করেছে। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সহযোগিতা করেছে।
সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সংস্কারের কথা সব রাজনৈতিক দলই বলছে, একটা মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। তা পরিবর্তন না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি আরও বলেন, যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে এগোচ্ছে সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে-অন্যের বিরোধী নয়। বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করা দরকার। তা না হলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চেষ্টা তা সম্ভব হবে না।