এবারের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের। যদিও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি থেকেই প্রার্থী হয়েছেন। তবে ‘নৌকা’ না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা করেন সেলিম ওসমান।
ওই সভায় সেলিম ওসমান বলেন, ‘জীবনে দুঃখ নৌকার হয়ে সংসদ সদস্য হতে পারলাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে আমি সংসদ সদস্য। আমি সবসময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, প্রধানমন্ত্রীর নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ করেছি। আমি তো রাজাকারপুত্র না, আমি তো আওয়ামী লীগের সন্তান। মানুষকে আল্লাহ একটা সুযোগ দেন। আমি আপনাদের সেবা করার আরেকটা সুযোগ পেয়েছি। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী এই আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী দেননি। আমাকেই পছন্দ করেছেন।’
সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক গুরু আনোয়ার ভাইকে (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি) বলি। এবার নির্বাচন করার কোন প্রশ্নই আমার ছিল না। আমি হতবাক হয়ে গেছি, যখন নারায়ণগঞ্জের সিটটা খালি রাখা হলো। আমাকে জানানো হলো, ঘরের ছেলে ঘরেই থাকুক।’
‘আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে হাতজোড় করে বলবো, আত্মসমালোচনা করার সময় এসেছে। আওয়ামী লীগের অফিস রেললাইনের উপর কেন হবে? বিশাল অফিস যেন হয় সেইটা ভবিষ্যতে দেখতে হবে। আর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনেই যেন নৌকা হয় সেইটা আগামীবার আমি দেখবো।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেন, ‘আমার বিপরীতে কোন প্রার্থী নাই যাতে জোর দিয়ে ইলেকশন করতে হবে। কিন্তু ভোট দিতে মানুষ জানে এইটা সারাবিশ্বকে দেখাতে হবে। চল্লিশ, পঞ্চাশ পার্সেন্ট না, হান্ড্রেড পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় সব সমস্যার সমাধান হয়। দলের হাল ধরে রাখার জন্য আমাকে লাঙল দেয়া হয়েছে। ওনার (শেখ হাসিনা) হুকুম অনুযায়ী সেলিম ওসমান চলবে। অন্য কারও কথায় সেলিম ওসমান চলবে না।’
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ