1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
আজ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে না’গঞ্জবাসীকে বিএনপি নেতা আবুল কাউছার আশার শুভেচ্ছা বন্দরে সিএনজি স্ট্যান্ড শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী পালন কোরবানির পশুর হাট ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে র‌্যাব তৎপর ৫ আগষ্টের পর পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কথা, অবস্থা আরও বেশী খারাপ – সেলিম প্রধান বন্দরে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরে গরু নামানোর ভিডিও ধারণ করায় তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা বন্দরে পিতা ও ভাইদের প্রহারে অপরভাই খুন, আটক মা সারাদেশে অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী কে সহযোগিতা করুন জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন – জোসেফ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের স্কোয়াড ঘোষণা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে যুবদল নেতা রুবেলের উদ্যোগে মিলাদ ও খাবার বিতরণ

আজ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৫৬ Time View

শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির কাছে জাতির পিতা ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেও তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফুর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার বা হিসাব সংরক্ষণকারী ছিলেন এবং তার মা সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।১৯২৭ সালের সাত বছর বয়সে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে আই.এ. এবং ১৯৪৭ সালে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটেছিল ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকে। ওই বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং খাদ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে বাংলা প্রদেশ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ওই সময় বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবি নিয়ে একটি দল তাদের কাছে যায়। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিব।ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ১৯৩৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথমবারের মতো গ্রেফতার করা হয়। ৭ দিন হাজতবাস করার পর তিনি ছাড়া পান। ১৯৩৯ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। এ সময়ে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ প্রমুখ যোগদান করেন। শেখ মুজিব এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক ছিলেন।১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের পর মুসলিম লীগ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে নেমে পড়ে। মুসলিম লীগের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এ সময় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের ‘জাতির জনক’ বা ‘জাতির পিতা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি ‘শেখ মুজিব’ বা ‘শেখ সাহেব’ নামে এবং তার উপাধি ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবেই অধিক পরিচিত।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দুই খণ্ডে তার আত্মজীবনী লিখেছিলেন, যেখানে তিনি স্বীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনেরও বর্ণনা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি তার চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও লিখে রেখেছিলেন। এসব রচনা তার মৃত্যুর পর তদ্বীয় তনয়া শেখ হাসিনা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন। তার রচিত বইগুলোর রচনাশৈলীতে সাহিত্যের গুণগতমান খুঁজে পাওয়ায় তাকে লেখক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। তার রচিত গ্রন্থাবলি- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন, আমার কিছু কথা।বিশ্ব শান্তি পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও ক্যুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়াও পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, গান্ধী শান্তি পুরস্কার। ১৯৬৯ সালে তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। আ. স. ম. আবদুর রব ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যায়িত করে। কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৭৩ সালের জোট-নিরপেক্ষ সম্মেলনে শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্বকে হিমালয় পর্বতমালার সঙ্গে তুলনা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে একদল ঘাতক সেনার হাতে নিহত হন

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (সকাল ৭:৪৬)
  • ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
  • ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL