নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আপনারা বলতে পারছেন স্বাভাবিক ভাবে পূজা উদযাপন করছেন কিন্তু আমরা বলতে পারছি না। কারণ আমরা ভীত-সংকিত অবস্থায় আছি। প্রতি স্বৈরাচার হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে আঘাত হেনে, ধর্মীয় উপাসনালয় আঘাত এনে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে হাসিল করার জন্য চেষ্টা করেছে। আর এগুলার দোষ চাপানো চেষ্টা করেছে আমরা যারা তাদের পূর্বের বিরোধী ছিলাম, তাদের উপর। আপনারা নিশ্চিন্তে পূজা উদযাপন করবেন, কিন্তু আমরা কিন্তু আমরা ভীত, এই হিন্দু সম্প্রদায়কে দিয়ে তারা অনেকদিন রাজনীতি করেছে। অতীত স্বৈরাচার যে কোন অঘটন ঘটাবে না আর এই ঘটনার দায়ভার অন্যদের উপর ফালাবে না সেটা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। এই জন্য আমরা ভীত আছি। কিন্তু আপনাদের ভীত হওয়ার কোন কারণ নাই, কেননা আপনারা আজকে নিরাপদ। আপনাদের ব্যবহার করার জন্য আমরা রাজনীতিবীদরা আসি না। আপনাদের ব্যবহার করবো না, আপনারা যাকে খুশি ভোট দিবেন। এটা আপনাদের গণতান্ত্রীক অধিকার, এই অধিকারকে সম্মান করে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) গলাচিপা শ্রী শ্রী রামকানাই জিউর মন্দিরে, আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যৌথ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে আমাদের একটা আদর্শ উপহার দিয়ে গেছে, দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা। যেখানে কোন ধর্ম বর্ণ নাই, যে দেশ সকলের জন্য। আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা দয়া করে কেউ কোন দলের ব্যবহার হবেন না, কোন দলের নিদ্রিষ্ট ব্যাক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। যদি চিহ্নিত হন তাহলে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন পূজার অনুষ্ঠানে এমন নিরাপত্তার জন্য সভা করতে হবে। আর যদি না করেন তাহলে ছোট বেলায় যে পূজা দেখেছি সেখানে ফিরে যেতে পারবেন। কোনটায় থাকতে চান সেটা আপনাদের বিষয়। আগে স্বৈরাচার ক্ষমতায় ছিলো, যারা এখানে ব্যবসায়ী তারা যদি চাঁদা দিয়ে থাকেন তাহলে সেই স্বৈরাচারের দোষরদের দিয়ে আপনাদের ব্যবসা বাণিজ্য করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন থাকি আপনাদের চাঁদা দিতে হয়না, আপনাদের ফোন করে বলিও না কে কোন ব্যবসা করেন। তাই আপনাদের সেই চেতনা থাকতে হবে কাদের সময় আপনারা নিরাপদ কাদের সময় নিরাপদ না। আপনাদের সম্মান- আপনাদের কার্যক্রম যা কিছু করা লাগে, আমাদের বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ ও সহকর্মী একসাথে করবো। একটুও কম করবো না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটো, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা,কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি শংকর সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পালসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির ও মন্ডপ প্রতিনিধিবৃন্দ।