নারায়ণগঞ্জে চৌদ্দ দিনের ব্যবধানে আবারো টনসিল অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মেহেনাজ আক্তার আনিকা নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এসময় নিহতের স্বজনেরা হাসপাতালের আবসিক চিকিৎসকসহ দুইজনকে মারধর এবং হাসপাতালের ভেতরে বিক্ষোভ ও ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকসহ ৫ জনকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে শহরের চাষাড়ায় সিলভার ক্রিসেন্ট হসপিটালে।
নিহত মেহেনাজ আক্তার আনিকার বাবা আমানত উল্লাহ বলেন, ‘আমার মেয়ের টনসিলের চিকিৎসার জন্য সিলভার ক্রিসেন্ট হসপিটালে ভর্তি করি। ভর্তির পরে নানা টেস্ট দেয় ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে তিনি জানান টনসিলের অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করার জন্য ৮০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ের অপারেশন হয়। অপারেশনের পর ডাক্তার মেয়েকে কিছু খাওয়াতে নিষেধ করে। রাত ৩টার দিকে ব্যাথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে নার্সদের সঙ্গে কথা বললে তারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ইনজেকশন দেয়। এক ঘণ্টা পর পুনরায় ব্যাথা উঠলে আবার ইনজেকশন দেয়। আজ সকালে ৯টার দিকে আমার মেয়ের হাত-পা নিল হয়ে যায় এবং ব্যথায় ছটফট করতে করতে মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেশনের পর থেকে সেই ডাক্তার আমার মেয়ের আর কোনো খোঁজ নেয়নি। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, ৯৯৯ এ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। নিহতের স্বজনদের রোষানল থেকে হসপিটালের আবাসিক চিকিৎসকসহ ৫ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: গত ১০ মার্চ শহরের খানপুরে আল-হেরা নামক ক্লিনিকে টনসিল অপারেশনের সময় একই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা যায় শিশু মোস্তাকিম।