মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাংলাদেশের কোনো বৈরিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেন্ট মার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।’
কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেন—কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।
তিনি বলেন, ‘জান্তা সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ-আলোচনা করা যাবে, উই আর নট ইন গুড টিউনস—এমন পর্যায়ে না গেলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাব। আমাদের যুদ্ধ পরিহার করতে হবে। আমাদের কোনো উসকানি যেন যুদ্ধের কারণ না হয়।’
সেন্ট মার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে? আমরা যুদ্ধ চাই না কিন্তু মিয়ানমার বারবার উসকানি দিচ্ছে—এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।’