বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। তার স্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর লেডিসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে।
শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমানের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে তা প্রচার করতে হবে। তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত পুস্তক নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের গান গায় সরকার। এই উন্নয়ন তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি স্বল্প সময়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার জন্য দোয়া করবেন, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সদরুল আমিন, বিএফইউজের কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ প্রমুখ।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। আরও তীব্রতর আন্দোলন করতে হবে যতদিন পর্যন্ত না লক্ষ্য আদায় হয়। খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত। যিনি গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন লড়াই করছেন।
তিনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা ভোট বর্জন করেছি। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আসুন ভারতের নিকৃষ্টতম পণ্য আওয়ামী লীগকে বর্জন করি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। সত্যকে সত্য বলা যায় না। রাষ্ট্র যদি বলে এটা সত্য, সেটা মানতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস যারা করেন তাদেরকে বলা হয় গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক! এই রীতি চালু করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, একটি বেপরোয়া সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন হয়ে জনগণের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন প্রথা রীতি সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ যাতে কথা বলতে না পারে, প্রতিবাদ না করতে পারে সে ব্যবস্থা কায়েম করেছেন শেখ হাসিনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেষ করা হয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া কেউ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন না। আরেকবার বুক পেতে দাঁড়াতে হবে।