অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ ( সুরা নাহল, আয়াত, ৪২) কোরআনের অন্যত্র আরো বর্ণিত হয়েছে ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ।’ ( সুরা ইবরাহীম, আয়াত, ১১) আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনিই বান্দার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, বান্দার আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরোনোর পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে জীবিকা দেন যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটা পরিমাপ ঠিক করে রেখেছেন।’ (সুরা, তালাক, আয়াত, ২-৩)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবরাহিম আ.-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্ম বিধায়ক। একথা ইবরাহিম বলেন, যখন তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়।’ (বুখারি, রিয়াযুস সালেহীন, ১/৭৬)।
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরসা কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যেমন পাখিদের দিয়ে থাকেন। তারা ভোরে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং দিনের শেষে ভরা পেটে ফিরে আসে।’-(তিরমিজি, ইবনু মাজাহ, মিশকাত ৫০৬৯)। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রা. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হিজরতের সময়কার ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আমরা যখন গর্তে আশ্রয় নিলাম। তখন আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেবললাম, যদি কাফেররা তাদের পায়ের নিচের দিকে তাকায়, তাহলে আমাদেরকে দেখে ফেলবে। তিনি বললেন, হে আবু বকর! আপনি কি মনে করেন, তারা দু’জন? আল্লাহ তাদের তৃতীয়জন রয়েছেন।-’ (বুখারী, ৩৬৫৩)। এই হাদিসের মাধ্যমে আমাদের নবীর আল্লাহর উপর ভরসার পরিমাণ অনুমান করা যায়। তিনি একেবারেই নিশ্চিত যে, শত্রু তাদেরকে দেখতে পাবে না। অথচ শত্রু তখন তাদের মাথার ওপরে ছিল।