মো: মোশাররফ হোসেন। একজন শিক্ষানুরাগী। তিনি সোনারগাঁও উপজেলাধীন কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুই দুইবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি মোশরফ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা ও চেয়ারম্যানও। তার পিতা প্রয়াত ওমর আলী মিস্ত্রীও ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ও একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন বিশ্বস্ত সহচর। কাচঁপুরে তাদের হাত ধরে গড়ে উঠেছে একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এতিমখানাসহ নানা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যেসব সেবা প্রতিষ্ঠানের সেবা কাচঁপুরবাসী প্রতিনিয়তই ভোগ করে চলেছেন। শুধু তাই, মোশাররফ হোসেনের পিতা মরহুম ওমর আলী মিস্ত্রী ও তার ছোট ভাই বাবুল ওমর উভয়েই কৃষিখাতে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকে ভূষিত হয়েছেন। তাদের স্বপ্ন আরও বড় পরিসরে সোনারগাঁওবাসীর সেবা করা। যারা হৃদয়ে ধারণ করেন, একদিন সোনারগাঁও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে সমৃদ্ধ হবে। শিক্ষার আলোতে আলোকিত হবে পুরো সোনারগাঁও। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে এমপি প্রার্থী হয়েছেন কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোশররফ হোসেন, কিনেছেন দলীয় তথা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও। তার বিশ্বাস, নেত্রী তাকে মূল্যায়ন করবেন।
কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোশররফ হোসেনের সাথে নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা হয় আমাদের প্রতিবেদকের। খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি এবং আমার পরিবার বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগে সাথে প্রথম থেকেই জড়িত। আমার পরিবার থেকে উৎসাহ পেয়েই আমি আওয়ামী লীগ করি। ১৯৯০ সালে ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যদিয়ে আমার আওয়ামী লীগে প্রবেশ। সে সময় আমি সোনারগাঁও থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। আসলে বঙ্গবন্ধুকে চেনেছি মূলত বই পড়ে। বই পড়তে পড়তে একটা সময় বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ফেলি। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা। কারো হাতধরে আমি আওয়ামী লীগে প্রবেশ করিনাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনারা জানেন, কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দুই দুইবার নৌকা প্রতীক দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন। যারফলে আমি কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবার চেয়ারম্যান হতে পেরেছি। এবং চেয়াম্যান হয়ে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, কাজ করছি। আমি এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আসলে তার জন্য দেশে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে কখনই যাবেন না’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার ভাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর। তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। একটা এমপি যতটা ভোটে নির্বাচন করে, আমার ছোট ভাই বাবুল ওমর ততটা ভোট কেন্দ্রেই নির্বাচিত হয়েছে। আসলে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে আমরা হঠাৎ করে আসি নাই। আমরা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির জড়িত, আওয়ামী লীগের রাজনীতি, আওয়ামী লীগের আদর্শের সাথেই আছি। এর বাইরে আমরা কখনই যায়নি এবং যাবোও না।
আমি দু’দুবার চেয়ারম্যান হয়েছি, আমার ভাই ভাইস চেয়ারম্যান। আমরা সব সময়ই চেষ্টা করেছি, জনগণের জন্য কাজ করার। যতটা সম্ভব মানুষের সেবা করে যাচ্ছি এবং সেবাটাকে মানুষের দড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নটাকে মানুষের কাছে পৌছে দেয়াটাকে আমরা চেলেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছি।
কাচঁপুরে শিক্ষাখাতে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে শিক্ষানুরাগী মোশাররফ বলেন, আপনারা হয়তো দেখেছেন, সোনারগাঁয়ে সবচেয়ে বড় স্কুল আমার এখানে মোশারফ স্কুল এন্ড কলেজ। এ স্কুলটা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড স্কুল। এমন স্কুল গোটা বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যকই খোঁজে পাবেন। এ স্কুলের মাধ্যেমে শিক্ষার আলোকে চারিদিক ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমার পিতা মরহুম ওমর আলী মিস্ত্রী কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনিও একজন শিক্ষানুরাগী ছিলেন এবং তিনিও ১৯৭৪ সালে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা আব্বুর নামে একটি লিল্লাহ্ বোডিং ও এতিমখানা করেছি। এভাবে আমরা বহু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি।
পিতা কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ওমর আলী মিস্ত্রীর স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বাবা ওমর আলী মিস্ত্রী ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুজিব খামার প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু যখন ঘোষণা দিলেন, কারো এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবেনা। তখন আমার বাবা এ কাঁচপুর ইউনিয়নের পুরোটা এলাকা নিয়ে সেচ প্রকল্প (শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে কৃষকের প্রতিটি জমিতে পানি দেওয়া) গ্রহণ করে ছিলেন। এই ইরি ধান প্রথম বাংলাদেশে কাচঁপুরেই করেন। সেই কারণে আমরা পিতা মরহুম ওমর আলী মিস্ত্রী সাহেব বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকও পেয়েছিলেন। আপনারা শুনে অবাক হবেন, গত বছরও আমার ছোট ভাই কৃষির উপর অবদান রাখায় সেও বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক পেয়েছেন। এছাড়াও দেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনেও আমার পিতার বড় একটা অবদান ছিলো। আসলে আমরা হলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
এমপি প্রাথী হওয়ার কারণ ও নিজের পরিকল্পনার নিয়ে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আমরা এখন চিন্তা করছি কিভাবে আরও বড় পরিসরে সোনারগাঁবাসীকে সেবা করা যায়। আমি কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আমি ইচ্ছে করলেই কিন্তু পুরো সোনারগাঁবাসীর সেবা করতে পারি না। জনগণের সেবা নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা, সেটা কিন্তু শুধুমাত্র চেয়ারম্যান হয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই মূলত আমার এমপি হওয়ার ইচ্ছা। সেজন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছি। নেত্রী যদি আমাকে আবারও মূল্যায়ন করে, আমাকে নৌকা প্রতীক দেন, তাহলে আমার কাজে পরিধিটা আরও বেড়ে যাবে, আমি পুরো সোনারগাঁবাসীর সেবা করতে পারবো। আসলে আমরা চাই সোনারগাঁয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিয়ে সমৃদ্ধ করতে। এগুলো আমাদের স্বপ্ন, এগ