ইরাকে ‘ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তু’তে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) এই হামলাকে ‘বেপরোয়া’ বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। এই ঘটনা ইরাকের ‘স্থিতিশীলতা’ নষ্ট করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে হামলা চালিয়ে ‘একটি গুপ্তচর সদরদপ্তর’ এবং ‘ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি’ ধ্বংস করেছে আইআরজিসি।এই হামলায় চারজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইরাকের কুর্দিস্তান নিরাপত্তা কাউন্সিল।
এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি ইসরায়েলি সরকার। তবে তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এই হামলা কঠোর সমালোচনা করেছে।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা পরিস্থিতির মূল্যায়ন চালিয়ে যাবো। প্রাথমিক তথ্য বলছে, এটি একটি বেপরোয়া ও ভুল হামলা ছিল।
তবে এই ঘটনায় কোনো মার্কিন নাগরিক বা স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াটসন বলেছেন, ইরাকের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সবসময় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, হামলার ঘটনা উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, জায়গাটি ‘এই অঞ্চলে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করছিল ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ।
ইরান এবং ইরান-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ (অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স)-এর ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।
একইদিন সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস। তাদের সেপাহ নিউজ সার্ভিস বলেছে, লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী গ্রুপ, বিশেষ করে আইএস কমান্ডারদের একত্রিত হওয়া এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক স্থান।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেরমান এবং রাস্কে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।