ইরানের কেরমান প্রদেশে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক টেলিগ্রাম বার্তায় গোষ্ঠীটি জানায়, তারা-ই ওই হামলা চালিয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ হামলায় নিহতের সংখ্যায় আবারও সংশোধন এনেছে ইরান। নতুন হিসাব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৮৪ জন ঘোষণা করেছে দেশটি। এর আগে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা প্রাথমিকভাবে ১০৩ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেচিল, হামলায় আরও ২১১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরে ইরানি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাহরাম আইনোল্লাহি নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সঠিক সংখ্যা ৯৫ জন। কিছু নাম ভুল করে দুই বার নিবন্ধিত হওয়ায় আগের সংখ্যা ১০৩ হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার ইরানের জরুরি পরিষেবার প্রধান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৮৪ জনে নামিয়ে আনেন।
এদিকে ইরান প্রাথমিকভাবে বলেছিল, প্রাণঘাতী এই হামলার পেছনে অবশ্যই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র জড়িত রয়েছে। তবে আইএস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এমনকি, জঙ্গিগোষ্ঠীটি তাদের নিউজ আউটলেট ‘আমাক’এ এ হামলার পেছনে দায়ী দুজন মুখোশধারীর ছবিও প্রকাশ করেছে। আইএস জানিয়েছে, হামলাকারীদের নাম ওমর আল-মুওয়াহিদ ও সাইফুল্লাহ আল-মুজাহিদ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েক দফায় ইরানে বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে আইএস। এমনকি, এই গোষ্ঠীটি ২০২০ সালে জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ছিলেন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের একজন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের ইরান সমর্থিত সরকারকে সহযোগিতা ও ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা