ছবি: সংগৃহীত
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরউরি নিহত হয়েছেন। হামলায় আরউরি ছাড়াও আরও অন্তত চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে এই ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবিন্দুতে ছিলেন আরউরি।
হামাসের সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে আরউরির নিহতের কথা ঘোষণা করেছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ে এই ড্রোন হামলায় সাতজনের প্রাণ গেছে। তাদের মধ্যে আরউরি রয়েছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এ হামলার মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাত আরও উসকে দিয়েছে।
ইরানের পক্ষ থেকেও হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। লেবানন ঘোষণা দিয়েছে, এ হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে। তবে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
সালেহ আল-আরউরি হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দখলকৃত গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জন্ম নেওয়া আরউরির দীর্ঘ ১৫ বছর কেটেছে ইসরায়েলের কারাগারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন। তবে চলমান সংঘাতে হামাসের রণনীতির একজন মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং অর্ধলক্ষের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।