নারায়ণগঞ্জ আপডেট ডেস্ক:পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন হাওলাদার। অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। এক মাস আগে পটুয়াখালী পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারে তার স্ত্রী তিন সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকেই তিন নবজাতকই অসুস্থ থাকায় কয়েক দফা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করিয়েছেন।
বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে আবারও অসুস্থ। তিন সন্তানের জন্য চিকিৎসা চালাতে গিয়ে নিজের অটোরিকশাও বিক্রি করে দিয়েছেন সুমন। এখন সন্তানদের জন্য দুধও কিনতে পারছেন না।
সুমন হাওলাদার বলেন, ‘অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতাম। ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা হই। কিন্তু আমার আর্থিক সংকটের কারণে তাদের চিকিৎসা চালাতে পারছি না। অটোরিকশাটাও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন প্রতিদিন ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়, যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবুও ধারদেনা করে কোনোরকম চালিয়ে নিচ্ছি। সরকার কিংবা সমাজের বিত্তবানরা আমার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো এ তিন সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশুদের জন্মগত অপুষ্টি, কম ওজন এবং এখন পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তবে তিনটি বাচ্চা হওয়ায় মায়ের দুধে হচ্ছে না। বাইরের বাড়তি খাবার কিনে খাওয়াতে হচ্ছে, আর তাদের আর্থিক সামর্থ্যও নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শিলা রানি দাস বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে সে সময় আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে পারবো। পাশাপাশি তাকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ সুত্র:জাগো নিউজ।