ক্রিকেটবিশ্বে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। এই দুই দলের ম্যাচের টিকেট ছাড়ার দশ মিনিটও হয়নি, সবগুলো টিকেট বিক্রি হওয়ার ঘটনাও আছে। এশিয়ার দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে স্টেডিয়ামে দর্শক পরিপূর্ণ দেখা যায় সবসময়ই। এমনকি একটি আসন নিশ্চিত করাও হয়ে পড়ে দুস্কর। অথচ এবার ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বহুল প্রতিক্ষিত এ ম্যাচের গ্যালারি থাকতে পারে ফাঁকা। চড়া মূল্যের কারণে টিকেট অবিক্রিত রয়ে গেছে ৬৫০টির বেশি।
ম্যাচের দুইদিন আগেও আইসিসির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুটি গ্যালারি মিলিয়ে ছয়শর বেশি টিকেট এখনো কেনা হয়নি। প্রিমিয়াম ক্লাব লাউঞ্জ ও ডায়মন্ড ক্লাবের গ্যালারিতেই মূলত আসন ফাঁকা থাকতে পারে। এর পেছনের বড় কারণ টিকেটের দাম। পিচের সোজা এই জায়গায় টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ডায়মন্ড ক্লাবের একটি আসনের জন্য খরচ করতে হবে ১০ হাজার ডলার। প্রিমিয়াম ক্লাব লাউঞ্জের আসন বরাদ্ধ করতে প্রয়োজন পড়বে ২ হাজার ৫০০ ডলার।
নিউইয়র্কের মাঠেই হওয়া ভারত ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে সবচেয়ে কম দামের যে টিকেট ছিল, সেটির মূল্য রাখা হয়েছিল ১৫০ ডলার। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে সর্বনিম্ন ৩০০ ডলারের টিকেট রাখা হয়েছে। যেগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। এ ম্যাচকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ চিন্তা করেই সবসময় টিকেটের চড়া মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু এবার ম্যাচটি যে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আয়োজন হতে যাচ্ছে, তাই টিকেটের মূল্য কমানো যেত বলেও মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। আমেরিকার প্রধান খেলা বেসবল ও এনবিএতেও (বাস্কেটবল লিগ) এত দাম থাকে না টিকেটের, সেটা উল্লেখ করে সমর্থকদের বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ফাঁকা গ্যালারি দেখে অভ্যস্ত নন রোহিত শর্মা ও বাবর আজমের দল। নিউইয়র্কের মাঠে তাদের এমন দৃশ্যই হয়তো দেখতে হবে। অবশ্য টিকেট কেনার জন্য একদিনের বেশি সময় পাচ্ছেন আগ্রহী সমর্থকেরা। ‘এ’ গ্রুপের এই লড়াইয়ে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ৯ জুন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।