বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এর মধ্যে মুছাপুর ইউনিয়নের সম্মেলন হলেও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে নাটকীয় যেনো শেষ হচ্ছেই না। তবে তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রশ্ন সম্মেলন না হলে কার লাভ?।
কাউন্সিলর তালিকাকে পুজি করে নানা জটিলতা দেখিয়ে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম তাদের পদ আকড়ে থাকতে চান বলেই সম্মেলন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে । দীর্ঘদিন ধরে এ ইউনিয়নে কমিটি হয় না। তারপরও সম্মেলন দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থাায় শীর্ষ পর্যায় থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারী সম্মেলনের নির্দেশ আসলেও রহস্য জনকভাবে তা স্থাগিত করা হয়। নানা অজুহাত, টালবাহানা ও কলাকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন যাতে সম্মেলন করতে না হয় এমন কথা জানিয়েছেন তৃনমুল কর্মীরা।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রত্যাশীরা দ্রুত সম্মেলনের তারিখ নির্ধারনের জন্য বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ও সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানের সাথে বৈঠক করলেও রহস্য জনকভাবে সম্মেলন তারিখ নির্ধারন করতে পারেন নাই উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবকরা। ফলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলনের কবে হবে তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অজানা সংশয় বিরাজ করছে।
বর্তমান কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভোটার তালিকা একাধিকবার সংশোধন করলেও সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করতে তাদের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ লক্ষ করা যায় নাই। সম্মেলনের তারিখ নিয়ে তাদের অনাগ্রহ রয়েছে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজন নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আমিরুজ্জামান তার ব্যবহৃত ফোনটি না ধরলেও সাধারান সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম জানান, আমি ব্যাক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করতে পারি নাই তবে আমার সভাপতির সাথে আলাপ করে দ্রুত সম্মেলনের একটা তারিখ নির্ধারন করব। আশা করি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সম্মেলনটি হবে দৃষ্টিনন্দন ও সুশৃঙ্খল।।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের তৃনমুল কর্মীরা বলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসলে কালক্ষেপণ করছেন। তারা সম্মেলন চান না। তারা তাদের পদ দীর্ঘদিন ধরে আঁকড়ে রেখেছেন। পূণরায় একই পদে বহাল থাকার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছেন। দীর্ঘদিন ধরে কমিটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। নতুন নেতৃত্বকে সুযোগ দিতে চান না তারা। সম্মেলনের তারিখ দেয়ার পরও সম্মেলন স্থাগিত করা হয়েছে।
এ অবস্থাায় যখন শীর্ষ পর্যায় থেকে সম্মেলনের নির্দেশ এসেছে তখন তারা নানা অজুহাত, টালবাহানা ও কলাকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন যাতে সম্মেলন করতে না হয়। বন্দর উপজেলা আ’লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে দাবী তরা যেন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আ’লীগের দ্রুত সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেন, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে খুব দ্রুত সাময়িক জটিলতা নিরসন করে অচিরেই একটি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করার জন্য। আ’লীগ একটি বড় দল। এখানে স্বেচ্ছাচারিতার কোন সুযোগ নেই। দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই প্রতিটি ইউনিয়নের সম্মেলন হবে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায় নাই।