সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: মেসার্স রনি লাইমস্ নামক একটি চুনা কারখানার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সানোয়ারের বিরুদ্ধে আইজিপি ও ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কারখানাটির মালিক মো: চাঁন মিয়া। ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) এই অভিযোগ দুটি দেন।
অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, চলতি মাসের ১০ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ নয়াআটি এলাকায় মো: চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন মেসার্স রনি লাইমস্ নামক চুনা কারখানার অনুমোদিত ফার্নিস নির্মাণ করার কাজ বন্ধ করে দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সানোয়ার। ওইদিন দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের ক্যাডার বাহিনী শফিকুর রহমান টয়, মো: রনি, মোশারফ, কদম ফারুক ও নজরুল ড্রাইভারকে নিয়ে এসআই সানোয়ার কাজ বন্ধ করে হুমকি ধমকি দিয়ে কর্মচারিদের বের করে দেয়।
এদিকে খবর পেয়ে কারখানার মালিক মো: চাঁন মিয়া ঘটনাস্থলে এসে এসআই সানোয়ারের কাছে কারখানা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এসময় চাঁন মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ ? আপনি আমাকে নোটিশ দেন। উত্তরে এসআই সারোয়ার বলেন, আমি পুলিশ আমার কোন নোটিশ লাগে না। সরকার আমাকে দেড় বছর ধরে এই থানায় আটি বাধার জন্য রাখেনি। কিছু জানতে হলে ওসিকে ফোন করুন। এই বলে এসআই সারোয়ার চলে যায়।
পরে চাঁন মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফাকে এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বলেন, আমি কোন অফিসারকে আপনার কারখানায় পাঠাইনি। আপনি সন্ধ্যায় আপনার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসেন। এরপর কারখানার সকল কাগজপত্র নিয়ে ওসি গোলাম মোস্তফার সাথে দেখা করলে, সকল কাগজপত্র দেখে তিনি চাঁন মিয়াকে বলে, ‘আপনার কাজ আপনি চালিয়ে যান।’ ওসির কথামত পরের দিন চাঁন মিয়া তার কারখানার ফার্নিস নির্মাণ কাজ আবারও শুরু করে। পরক্ষনেই এসআই সানোয়ার এসে লেবারদেরকে বলে, ‘তোদের কে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে নিয়ে যাবো।’ একথা শুনে ভয়ে লেবার সব চলে যায়। চাঁন মিয়া এসআই সারেয়ারকে বলে, ওসি স্যারতো আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। পরে চাঁন মিয়া ওসিকে ফোন দিলে, তিনি বলেন এসআইকে আমি পাঠিয়েছি। এ কথা বলেই ফোনটি কেটে দেয়।
‘সাবেক কাউন্সিলর ফারুক কারখানার জন্য প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে’ উল্লেখ করে অভিযোগে চাঁন মিয়া আরও বলেন, এর আগে সাবেক কাউন্সিলর ফারুক আমাকে বলে যে, সকল কারখানায় প্রতি মাসে ২ লক্ষ করে টাকা দেয়। তখন আমি বলি কিসের টাকা ? সে বলে সকল কারখানায় প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা করে চাঁদা দেয়। ঐ টাকা দিয়ে প্রতি কারখানার নামে থানায় ১ লক্ষ টাকা এবং তিতাস গ্যাস অফিসে ১ লক্ষ করে টাকা আমার মাধ্যমে বুঝে নেয়। সে আমার কাছে প্রতি মাসে ২ লক্ষ করে টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি তার এই অনৈতিক দাবী দিতে অস্বীকার করায় সাবেক কাউন্সিলর ফারুকের নিদের্শে গত ২৪-০২-২০২৩ইং তারিখে আমার কারখানায় মাল লোড করার সময় ড্রাইভার নজরুল ও কদম ফারুক আমার লোড ট্রাকের সামনের ২টি চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়।
এদিকে এ বিষয়ে কারখানার মালিক মো: চাঁন মিয়া বলেন, হাইকোর্ট আমার জানমালের নিরাপত্তার জন্য আদেশ প্রদান করেছে। কিন্তু আমার জানমালের নিরাপত্তাতো দূরের কথা উল্টো সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সানোয়ার আমার কারখানা বার বার বন্ধ করে দিচ্ছে। কারখানার কর্মচারিদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই আমি নির্ভয়ে কারখানাটি চালানোর জন্য আইজিপি ও ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ মহোদ্বয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।