পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছেন দেশটির লাখ লাখ ভোটার। তবে কারাগারে বন্দি থাকায় পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, আদিয়ালা কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। একই পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদ এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
তবে ভোট দিতে পারেননি ইমরানের খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। কারণ পোস্টাল ব্যালটের ভোটিং প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে আদিয়ালা কারাগার থেকে ১০০ জনেরও কম বন্দি ভোট দিতে পেরেছেন। এটি কারাগারটিতে থাকা সাত হাজার বন্দির এক শতাংশ মাত্র।
সূত্র জানায়, জেল প্রশাসন কেবল সেসব কয়েদিকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল, যাদের বৈধ কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) ছিল। ভোটার সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হিসেবে অধিকাংশ বন্দির কাছে আসল সিএনআইসি না থাকার কথা বলা হয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চোর, ডাকাত, জঘন্য অপরাধে দণ্ডিত এবং বিচারাধীন ব্যক্তিরা (ইউটিপি) কারাগারে বন্দি। এদের মধ্যে বেশিরভাগ অপরাধী পরিচয় লুকাতে সিএনআইসি রাখতো না বলে দাবি করেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা জানান, আদিয়ালা জেল প্রশাসন জানুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পোস্টাল ব্যালট পেয়েছিল এবং বন্দিদের কাছে সেগুলো সরবরাহ করেছিল। ব্যালট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ জানুয়ারি।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় তার অনুরোধ রাখা যায়নি।
নির্বাচন উপলক্ষে কারাগার থেকে ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। নিজেদের অধিকার রক্ষা ও পোলিং স্টেশন পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক বার্তায় (সাবেক টুইটার) তিনি ভোটারদের কাছে এই আহ্বান জানান। তার এই বার্তা দলের পক্ষ থেকেও শেয়ার করা হয়েছে।