ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশিপুর ইউনিয়ন এর উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোন ভোট বিফলে যায় না। তিনি বলেন, নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে।অনেক ?আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরো উৎসাহিত হবে।
শুক্রবার (১নভেম্বর) বিকেলে কাশিপুর বড় মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, বিগত হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই। সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। তিনি যানজট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পতিত সরকারের প্রেতাত্মা এখনও বিভিন্ন প্রশাসনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কঠোরভাবে বয়কট করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশিপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশীপুর ইউনিয়ন শাখা সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন রানা।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, ফতুল্লা থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেক্রেটারি আলহাজ্ব আমানুল্লাহ , থানা জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ যুবায়ের হুসাইন , থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, থানা শ্রমিক আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম আহমাদ , থানা যুব আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন , থানা ছাত্র আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ।
উক্ত গণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশিপুর ইউনিয়ন শাখা সহ-সভাপতি মুফতি ইমদাদুল হক, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মুক্তার হোসাইন, সেক্রেটারি মুহাম্মদ খোরশেদ আলম খোকন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল জলিল প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম , দফতর সম্পাদক এম. শফিকুল ইসলাম, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার হোসাইন, শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সভাপতি ফুজায়েল করীম , ইউনিয়ন যুব আন্দোলন সভাপতি আমির হোসেন , ইউনিয়ন ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইমরান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।