1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
কেউ জীবনে কোনদিন রাজনীতিতে আসতে পারবে কিনা জানা নাই – গিয়াসউদ্দিন - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বন্দর থানা অটোরিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির কমিটি ঘোষনা ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত বিকেএমইএ‘র ব্যবসায়ী সংগঠনের স্মারকলিপি ফতুল্লা থানায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি মুক্ত, পুলিশ বলছে অবজারভেশনে ছিল। নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির একাল-সেকাল নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তাসমিন আক্তার পিপিএম’র যোগদান বন্দরে সিএসডিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ আসমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজদের তালিকা হচ্ছে, দু-এক দিনের মধ্যে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাদপন্থি সন্ত্রাসীদের বিচার না হলে সারাদেশে আগুন জ্বলবে – মাওলানা আব্দুল আউয়াল জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল ফতুল্লা থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কেউ জীবনে কোনদিন রাজনীতিতে আসতে পারবে কিনা জানা নাই – গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮৮ Time View

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে একজন গডফাদার ছিলো। এই গডফাদারের দাম্বিকতা আপনারা দেখেছেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানদের মাস্তান বানিয়েছিলো। ২০০১ সালে আমার সাথে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর যেভাবে পালিয়ে গিয়েছিলো, এবার তাদের পরাজয় হওয়ার পর কিভাবে পালিয়ে গেছে কেউ দেখে নাই। ২০০১ সালে পালিয়ে গেছিলো পরিবার নিয়ে, এবারও পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের নেতাকর্মীদের প্রতি একটুও দরদ নাই। সবাইকে না বলে চলে গেছে, আজকে তারা লুকোচুরি খেলছে। এমন নেতার পেছনে যারা যায় তারা নির্বোধ ছাড়া আর কি হতে পারে। কিভাবে অর্থ কামাবে আর পাওয়ার দেখাবে এটাই তাদের কাজ ছিলো। সেই জন্যই আজ দেশ ছাড়া। আমরা চাই আমাদের সাথে রাজনীতিতে বীর পুরুষরা আসুক, রাজনীতি করুক। আমি বলতে পারছি না, ওসমান পরিবারের আর কেউ জীবনে কোনদিন রাজনীতিতে আসতে পারবে কিনা জানা নাই। অর্থ, দাম্বিকতা, আর ক্ষমতার কারণে একটা রাজনৈতিক পরিবারের রাজনীতি করার ক্ষমতা চিরদিনের জন্য ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাদের দোষরদের বলতে চাই ‘এখনো আপনারা ভাবেন আপনারা আবার ফিরে আসবেন, এটা ভুল স্বপ্ন ভুলে যান।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে ৪টায় ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি নৈরাজ্যের প্রতিবাদে, ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ২০০১ সালের পর থেকে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। অনেক তরুণ, যুবক তৈরী হয়েছে। এরা হয়তো আমাকে কখনো দেখে নাই আমার সাথে কথা বলে নাই। কিন্তু বক্তাবলীতে আসার পর আমার নাতীর বয়সের শিশুরা আমার সাথে হাত মিলিয়েছে। খুশিতে আমার বুকটা ভরে গেছে। যে এলাকায় সম্মান স্নেহ পেয়েছি, সেখানে তার সন্তানরাও আমাকে ভালোবেসেছে। আমি এখানে আসার পর আমাকে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছে, আমার সফরসঙ্গীদের জামাই আদর করে খাইয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন ভালোবাসা কোথাও পাইনি। জীবনভর আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এই আন্দোলনে আপনারা অনেকে অংশগ্রহন করেছেন, কেউ কেউ আন্দোলন না করলেও সমর্থণ দিয়েছেন। আবার অনেকে দোয়া করেছেন যাতে আমরা সফল হতে পারি। স্বৈরাচার ১৬ বছর যেভাবে এমনভাবে বাংলাদেশে অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করে খেয়েছে, এমনভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে যা ভাষায় বর্নণা করার মতো না। ১৬ বছর আন্দোলন করার পর মানুষ যখন হতাশ যে, এই স্বৈরাচারী হাসিনাকে কোনভাবে সরানো যাবে না। তখন হঠাৎ করেই আমাদের ছাত্ররা আন্দোলনে নামলো, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে। এই আন্দোলন এমনভাবে চূড়ান্ত রূপ তৈরী করলো যে, অহংকারী দেমাগ সম্পন্ন শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতা ছাড়লো না, গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো। তাকে কে পালিয়ে যেতে বললো, আমরা তো তাকে পালিয়ে যেতে বলিনি ফুল দিয়ে ঢিল ছুড়ি নাই। কিন্তু সে কেনো চলে গেলো, প্রশ্ন তো এখানেই।

তিনি আরও বলেন, এই দেশে পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন হয়েছে, কেউ হারে কেউ জিতে। কোন দিন কি দেখেছেন কোন দলের এমপি মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাহলে এতো ক্ষমতাধারী, শক্তিশালী, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কেনো পালিয়ে গেলো, এবং কারা তাকে তাড়ালো। আন্দোলন সংগ্রাম এমন পর্যায়ে গিয়েছিলো, তিনি বুঝে গেছে আমি যদি কিছুক্ষণ থাকি তাহলে প্রাণে রক্ষা পাবো না। এই জন্যই মূলত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঐতিহ্যের দাবীদার একটা রাজনৈতিক দল, এবং তার দলের প্রধানমন্ত্রী জনরোষে পালিয়ে গিয়ে তার দলটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সে নিজেকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। একটি প্রবাদ আছে ‘অহংকার পতনের মূল’। সে যে অহংকার করেছে আল্লাহর তরফ থেকে গজব পরেছে। সে পালিয়েছে কিন্তু তার মন্ত্রীরা কেনো পালালো, নিশ্চই তার মতো তার মন্ত্রীরাও অন্যায় করেছে দুর্নীতি করেছে। এই অপরাধ থেকেই বুঝতে পেরেছে এখানে থাকলে তারা বাঁচবে না। তারা তো পালিয়েছেই তার সাথে দেশের বিচারকরাও পালিয়েছে। কারণ তারা সঠিক রায় দেয়নি। শিক্ষকরাও পালিয়েছে, কারণ শিক্ষকদের ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেছে। পুলিশকে আওয়ামী লীগের বাহিনী বানিয়ে মানুষের উপর গুলি করেছে। মসজিদের ইমাম সাহেব পালিয়েছে, মসজিদের ইমামকেও তারা তাদের দলীয় বানিয়েছে।

জাতীয়তাবাদী মৎসজীবীদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সামাজিক আপ্যায়ন সম্পাদক মিলন মেহেদীর সভাপতিত্বে ও বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলীর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এড. খন্দকার আক্তার হোসেন, শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মন্টু মিয়া, কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন প্রমূখ।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ১:৩২)
  • ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL