কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতে বিএনপির নাম জড়ানো সরকারের অপকৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিন তিনি বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ করেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি এই আন্দোলনে ভর করে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে—গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই কোটা সংস্কার আন্দোলন যারা করছে, তাদের দাবি-দাওয়া ন্যায্য। বিএনপি এর সঙ্গে আছে—এই কথা বলে আসল বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এটা তাদের একটা অপপ্রয়াস-অপকৌশল এই আন্দোলনকে অন্য দিকে ধাবিত করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি এইটুকুই যে, এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে আবার অন্য কোনো অপকর্ম তারা (সরকার) করছে কি না, এ দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছে কি না, এটা আমরা ভয় পাচ্ছি।’
বিএনপির কোনো আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘(সরকার পতনের একদফা দাবিতে) এই আন্দোলনে আমাদের ছেলেরা, আমাদের কর্মীরা, আমাদের নেতারা দলে দলে জেলে গেছে, এখনো যাচ্ছে। আবার বের হচ্ছে, আবার ঢুকছে। গুলি খেয়েছে, আহত হয়েছে, শাহাদাৎ বরণ করেছে। সুতরাং আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। বরং সরকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনে বাণিজ্য হয় এই অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কমিটিতে বাণিজ্য করা হয় এ কথা ঠিক না। এটা সম্পূর্ণ অলীক কথা-বার্তা। আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া কাউন্সিল হয় না। আহ্বায়ক কমিটি করার পর পরবর্তীতে কাউন্সিল করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল মহানগরের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।