1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ ৩ সময় - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আজ মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা হিন্দি-চীনী ভাই ভাই’পুরোনো স্লোগান ফিরছে কি ভারত ? নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার হলেন বিএনপি নেতা আসলাম ও তোফা বিদ্যালয় মাঠে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, স্কুল গেটের সামনে মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন মাদকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান বন্দরে প্রবাসীর বাড়িতে চুরি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট নারায়ণগঞ্জে জনসচেতনতা সাইনবোর্ড স্থাপন, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন ভারতীয় পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার নির্দেশ ট্রাম্পের ঢাকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালীতে আশা’র নির্দেশে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ

ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ ৩ সময়

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৩৮ Time View

মানবজাতির প্রকৃতিতে ভুল করা একটি সাধারণ ব্যাপার। আদমকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাকে তার প্রকৃতির অংশ হিসেবে লোভ-লালসা ও বাসনা দান করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা শয়তান সৃষ্টি করেছেন, যারা আদমের সন্তানদের পাপের দিকে আহ্বান করে এবং তাদের পথভ্রষ্ট করে। ফলে, যখন মানুষ সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হতে চায়, তখন তারা সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জন করে, হয় ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চতর। তবে তারা কখনো কখনো এতটাই নিচু হতে পারে যে, শয়তানের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

আল্লাহ তাআলার বিরাট অনুগ্রহ হলো যে, তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, মহান এবং আমাদের তাওবা কবুল করেন। তিনি আমাদের পাপ ক্ষমা করেন, যদি সত্যিকারভাবে তাওবা করি এবং পুনরায় তা না করার সংকল্প করি, তবে আমাদের সমস্ত ভুল ও অপরাধ তিনি মাফ করে দেন। ক্ষমা প্রার্থনা করাকে তাই আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইবাদত নির্ধারণ করেছেন।

ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ সময়গুলো

কোরআন ও হাদিসের বহু বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলা চান, আমরা তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এমনকি তিনি নবীজিকেও ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন কোরআনে বহুবার। তিনি বলেছেন, ‘জানো, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং তোমাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো।’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ১৯)

অন্য আয়াতে বলেন, ‘তুমি তোমার পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো (হে মুহাম্মদ), এবং তোমার প্রভুর প্রশংসা করো রাত্রি ও দিনকাল।’ সুরা মু’মিন, আয়াত: ৫৫)

এ ছাড়াও বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ অসীম ক্ষমাশীল, খুবই দয়ালু।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৬)

মুগিরাহ ইবনে শুবা থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, একদিন নবীজিকে (সা.)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন তিনি রাতের সময় এত বেশি নামাজ পড়েন, যার ফলে তার পা ও গোড়ালি ফুলে যায়? তার তো পূর্বাপর সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: ‘তাহলে কি আমি কৃতজ্ঞ দাস হব না?’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৩০; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৮১৯)

বেশ কয়েকটি সময়ের বিষয়ে জানা যায়, তখন ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি খুশি হন। তেমন তিনটি সময় হলো:

১. ইবাদত সম্পাদনের পর: এটি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ইবাদতের কমতি পূরণ করতে পারি এবং আমাদের ইবাদতের কারণে অহংকার বা আত্মসন্তুষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারি।

কোরআনের শেষ দিকে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অবতারিত হওয়া আয়াত গুলির মধ্যে একটি, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং তুমি মানুষদের আল্লাহর ধর্মে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তোমার প্রভুর প্রশংসা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি তাওবা কবুলকারী।’ (সুরা নাসর, আয়াত: ১-৩)

এই আয়াত মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে পৌঁছানোর পর, তিনি প্রতি নামাজের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। নবীজি (সা.) প্রতিটি ভালো কাজ শেষ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। হজ সম্পন্ন করার পর, তিনি মদিনার দিকে রওনা হওয়া শুরু করতেন এই বলে: ‘আমরা ফিরে যাচ্ছি তাওবা করে, ইবাদত করে এবং আমাদের প্রভুর প্রশংসা করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮১৫।

২. পাপ করার পর: আল্লাহ বলেছেন, ‘এবং যারা কোনো খারাপ কাজ করলে বা নিজেদের প্রতি অবিচার করলে, আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে—আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ মাফ করবে—তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করেন, যদি তারা সে পাপের দিকে ফিরে না যায়।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৫)

নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: ‘যদি আল্লাহর কোনো বান্দা পাপ করে, তারপর সঠিকভাবে অজু করে, দুই রাকাত নামাজ পড়ে, এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।’ এরপর তিনি কোরআনের এই আয়াতটি পাঠ করেন, ‘যারা খারাপ কাজ করে বা নিজেদের প্রতি অবিচার করে…’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৭১৫)

৩. গাফিলতিতে থাকার পর: সব মানুষই ভুল করে, এবং অধিকাংশই তারা যা করছে তার প্রতি গাফিল থাকে এবং গাফিলতিতে থেকে তারা আরও পথভ্রষ্ট হয়। যদি আমরা মহানবী (সা.)-এর উদাহরণ দেখি, তবে দেখতে পাব তিনি কখনোই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গাফিল হতে দেননি। তিনি বলেছেন, ‘কখনো কখনো আমার মনে একটি পর্দা অনুভব করি এবং আমি একদিনে একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৭০২)

আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেন যারা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি তাদের ক্ষমা করবেন। অবশ্যই, এতে অন্তর্ভুক্ত হল পাপ থেকে বিরত থাকা।

আমাদের পূর্ববর্তী পুণ্যবান মনীষীদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছিলেন, ‘যদি কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করে কিন্তু তার পাপ থেকে বিরত না থাকে, তবে সে ক্ষমা প্রার্থনাতে মিথ্যা বলছে।’

পাপ থেকে বিরত থেকে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, আমরা সত্যিই আশা করতে পারি যে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। তবে যদি আমরা ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি’ বলি কিন্তু আমাদের অন্তরে পাপ ত্যাগ না করি, তবুও ক্ষমা প্রার্থনা থেকে যেন কিছুতেই বিমুখ না থাকি। আশা করা যায়, আল্লাহ আমাদের অন্তর বদলে দেবেন এবং পাপ থেকে ফিরে থাকার আগ্রহও তৈরি করে দেবেন।

সূত্র: ইসলাম টুডে ডট কম

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (বিকাল ৩:৪৬)
  • ১১ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি
  • ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL