রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইংল্যান্ড দেড়শ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে ক্রয়মূল্যে। আর কত ভর্তুকি দেওয়া যায়। আর এ ক্ষেত্রে কেন দেবো। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে। করোনার সময় তো আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগে ১২ টাকা, সেখানে আমরা নিচ্ছি ছয় টাকা। তাতেই অনেক চিৎকার শুনি। প্রতি মাসে সমন্বয় হবে জ্বালানি তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে যে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম, ২০০৯ সালে এসে দেখলাম সেটা কমে গেছে, তিন হাজারে নেমে গেছে। আমি জানি না এ রকম পেছনের দিকে কোনো দেশ যায় কি না। ইংল্যান্ড বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে দেড়শ শতাংশ, মনে রাখতে হবে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল, জেনারেটরের ওপর থেকে সব ট্যাক্স আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। বর্তমান সরকার দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো। সেটা দিয়েছি। খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়লো বিদ্যুতের দাম, গেজেট জারি খাদ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমরা খাদ্য উৎপাদন করি, খাদ্যে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০১ সালে ২৬ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছিলাম। বিনিয়োগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বিদেশিরা যখন আসবে, দেখবে বিনিয়োগ করবে। ভালোভাবে দেখলে ভালো বিনিয়োগ হবে। এছাড়া হবে না। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আলাদা ভবন করার। আরও পড়ুন: গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দ্রব্যমূল্য কিছুটা বাড়বে