নিজস্ব প্রতিবেদক, রূপগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারের জেরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে কুপিয়ে খুনের পর পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত প্রধান আসামি দেলোয়ার ও তার অনুসারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরে আদালতের মাধ্যমে কারাবরণ শেষে এবার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে মহড়া দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন সেই দেলায়ার বাহিনী। রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেলোয়র তার অনুসারীদের নিয়ে স্বদলবলে নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের বাড়িতে মহড়া দিয়ে হামলা ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সদস্য।
এর আগে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাকিব হোসেন হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি দেলোয়ারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। গ্রেফতার হওয়া শ্রমিক লীগের নেতা দেলোয়ার তার সহযোগি সজিব মিয়া ও মো রুবেল হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলায়। তাদের মধ্যে দেলোয়ার সম্প্রতি জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরেই তিনি তার পুরোনো রূপে ফিরেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তারা জানান, এবার তিনি আগের চেয়েও বেশি উগ্র হয়ে উঠেছেন। দিন ব্যাপী সন্ত্রাসী ধরনের লোকজনদের নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে ২১ সেস্পেম্বর রাতসাগে ৮টার দিকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে নিহত রাকিবকে। এসময় আসামী দেলোয়ার তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে রাকিবের পিঠের উপর আঘাত করে। তার সহযোগী সঞ্জিব চাপাতি দিয়ে রাকিবের হাত দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে। মামলার অন্য আসামীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাকিবকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে নিহতের বোন আখি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তবে ঘটনাপরপরই হত্যাকারীরা কৌশলে আত্মগোপন করে। ওই ঘটনায় সেই সময় নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। র্যাব মামলার আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরধারী শুরু করে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজানকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে সময় আসামীরা হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি সীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করে র্যাব।