1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আ.লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
অবশেষে বিলুপ্ত ঘোষণা করাহলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি নারায়ণগঞ্জ  মহানগর গোগনগর ইউনিয়ন  যুবদল  সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবি উলামা মাশায়েখদের বন্দর থানা অটোরিক্সা ও সিএনজি শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির কমিটি ঘোষনা ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত বিকেএমইএ‘র ব্যবসায়ী সংগঠনের স্মারকলিপি ফতুল্লা থানায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি মুক্ত, পুলিশ বলছে অবজারভেশনে ছিল। নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির একাল-সেকাল নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তাসমিন আক্তার পিপিএম’র যোগদান বন্দরে সিএসডিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ আসমার বিরুদ্ধে

জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আ.লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১১৩ Time View
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে এবং তারা এটা করেছে শুধু এ কারণেই যে, আমরা দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, আশা করি জনগণ সেদিকে একটু বিশেষভাবে মনোযোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ ও দেশের জনগণের জন্য আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। আমরা সেই দায়িত্ববোধ থেকেই দেশ চালিয়ে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবো। আমরা ই-গভর্নেন্স চালু করবো, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এটা করা সম্ভব হয়েছে এ কারণেই যে, দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই নয়, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায়ও আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে তার সরকার ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটা নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো যাতে পূরণ হয়, তার নিশ্চয়তা রেখেই সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে এবং তা সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনে যাতে একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ আসে তার ব্যবস্থাও করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সরকার প্রধান বলেন, তার সরকারের উন্নয়ন কেবল রাজধানী কেন্দ্রিক নয়, বরং একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সেবা বা ইন্টারনেট কানেকশন পৌঁছে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপন করে আমরা স্যাটেলাইট যুগেও প্রবেশ করেছি। তাছাড়া ’৯৬ সালে যে বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম মাত্র ১৬শ’ মেগাওয়াট তাকে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট পর্যন্ত বৃদ্ধি করার পর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি তা আবার ৩ হাজারে (মে.ও.) নেমে গেছে। সেখান থেকে আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের প্রত্যেকটি ঘরকে আমরা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পেরেছি। প্রায় ২৪ হাজার মে. ও. বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা মানুষকে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। পাশাপাশি মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদুৎ, পানি ও জ্বালানির ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে প্রায় দেড়শ ভাগ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমন অবস্থা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কাজেই এখানেও আমি সবাইকে অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাই আবার একটু সাশ্রয়ী হবেন।
দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২৩ সালে বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দা প্রত্যক্ষ করবে বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর এবং প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহবানও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের খাবার উৎপাদন বাড়াই তবে অর্থনৈতিক মন্দা আঘাত করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও তার সরকারের বাস্তব সম্মত ও সমেয়োপযোগী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও জিডিপিতে গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে সফলভাবে চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনা প্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করি। আমাদের যে পরিকল্পনা সেই পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলাদেশ ‘২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। যদি এই ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ধারা না থাকতো তাহলে এদেশ কিন্তু এতো উন্নত হতে পারত না।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্প: ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য ২০তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (৯০টি ফ্ল্যাট), তেজগাঁওয়ে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বহুতল (১৩ তলা) আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (ছয়টি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট), মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট, নোয়াখালী সদরে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ (৯টি ১০তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট)।
এছাড়াও রয়েছে ঢাকার রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার লাইব্রেরি ভবন, এনেক্স ভবন এবং অডিটোরিয়াম নবায়নসহ আনুষাঙ্গিক কাজ।
জাতীয় গৃহায়ন কতৃর্পক্ষের প্রকল্প: মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ১০৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট (স্বপ্ননগর-১) নির্মাণ, মিরপুর ১৫ নম্বর সেকশনে ১৪তলা বিশিষ্ট ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ১০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও সিলেটের সুনামগঞ্জে সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন।
রাজউকের প্রকল্প: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল পানি সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) ও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, পলখান উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্বাচল আদর্শ কলেজ ভবন।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বুধবার (সকাল ৮:০৪)
  • ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL