শহরের সব চেয়ে বেশি আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তিটির নাম সালাউদ্দিন বিটু। শহরতলী তামাকপট্টির বাসিন্দা হলেও গোটা নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। কারণে-অকারণে বার বার পত্রিকার পাতায় উঠে আসে তার নাম ও ছবি। শহরের শহীদ বাপ্পী সড়ক, তামাকপট্টি ও শুকুনপট্টি এলাকায় কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটলেই তার নাম যেন সবার আগে চলে আসে। তিনি জড়িত থাকুক কিংবা নাইবা থাকুক, তার নামটা জুড়ে দিলেই যেন ষোল কলা পূর্ণ হলো। এ কারণে অপরাধ না করেও কয়েকবার জেলও খাটতে হয়েছে তাকে।
সালাউদ্দিন বিটুর রাজনৈতিক পরিচয় হলো তিনি একজন জাতীয় পার্টির নেতা। পার্টি করার কারণে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে তার গভীর সর্ম্পক রয়েছে। রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সু-সর্ম্পক। ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার অত্যান্ত আস্থাভাজন হিসেবেই তিনি ব্যাপক পরিচিত। আর এসব কারণেই নাকি বার বার কোন এক অদৃশ্য কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন তিনি, এমনটাই ধারণা এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী বলেন, ওই কুচক্রিমহলটি বিটুর এত জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে বার বার পর্দার আড়ালে থেকে তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এলাকায় কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম হলেই সবার আগে কৌশলে বিটুর নামটা জুরে দিচ্ছে ওই কুচক্রিমহলটি। যারফলে অনেক সময় বিটুকে হয়রানীর শিকারও হতে হচ্ছে। আমরাও চাই বিটু যদি কোন অন্যায় করে, তাহলে তার বিচার হোক। কিন্তু অন্যায় না করে, যে কোন ঘটনায় তার নাম জড়িয়ে দিয়ে হয়রানী করাকে আমরা সমর্থন করিনা।
তারা আরও বলেন, বিটু যদি মানুষের এতই ক্ষতি করবে, তাহলে তাকে এলাকার মানুষ এত ভালোবাসবে কেন? তার যে কোন ডাকে এলাকাবাসী ঝড়ের বেড়ে ছুটে আসে। একজন মানুষতো একদিনে এত জনপ্রিয় হতে পারেনা। এর জন্য তাকে অনেক কাঠ-কয়লা পোড়াতে হয়, অনেক শ্রম আর ভালো কাজ করতে হয়। আমরা দেখেছি এলাকাবাসীর যে কোন বিপদে আপদে বিটু বিদ্যুৎ বেগে ছুটে আসে এবং পাশে দাঁড়ান। তাহলে মানুষতো তার কথা বলবেই। এতে হিংসা বা ঈর্শ্বন্বিত হওয়ার কি আছে? পারলে নিজেকে বিটুর অবস্থানে দাঁড় করান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বিটু বলেন, আমি কি বলবো ভাই? এলাকায় কিছু হলেই বিটুর নাম। এমন ঘটনা আছে, আমি নিজেও জানিনা। অথচ পত্রিকায় দেখি আমার ছবি ও নাম। কার কাছে অভিযোগ দেবো। দেখছি আল্লাহ্’র ছাড়াতো কেউ নাই।
একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এইতো সম্প্রতি আমার জায়গায় আমি বাউন্ডারি দেয়াল দিচ্ছি, পত্রিকায় দেখলাম আমি মোসা: পারভীন বেগম নামে কোন এক বৃদ্ধা মহিলার জায়গা দখল করে দেয়াল দিচ্ছি। ওই মহিলা আবার থানায় আমাদের অভিযোগও করেছেন। বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, ওই মহিলার সাথে আমার কখনো দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি। আমি তাকে চিনিও না, তিনিও আমাকে চিনেন না। তাহলে আমি করে তাকে হুমকি ধামকি দিলাম? এতে বুঝা যায়, এটা সর্ম্পূন মিথ্যা ও বানোয়াট।
পরে অভিযোগসূত্রে জানতে পারি, আমিসহ আরও কয়েকজনের নামেই সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, শীতলক্ষ্যা মৌজাস্থ সি.এস ২০ ও এস.এ ১৯ দাগের ২৯ শতাংশ জমি নাকি আমরা জোর করে দখল করার চেষ্টা করছি। আমরা জোর করে দখল করার চেষ্টা কেন করবো? আমরাতো বায়নাসূত্রে ওই ২৯ শতাংশ জায়গার মালিক। বরংঞ্চ আমরা আমাদের জায়গা বুঝে পাচ্ছিনা। বায়না করার পর যেটুকু আমাদের দখলের মধ্যে ছিল বা আছে, আমরা ওই জায়গাই বাউন্ডারি দেয়াল দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বাধা দিছে। আমরা এ বিষয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছি। পুলিশ তদন্তে এসে দেখে গেছে। আমরাতো কাউকে হুমকি ধামকি দেয়নি। এটা সর্ম্পূন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগকে আমরা ধিক্কার জানাই।