সারাদিনে খেলা হলো মোট ৮৭ ওভার। ৬ উইকেট খুইয়ে ভারত তুলল ৩০২ রান। যশস্বী জয়সওয়ালের আক্রমণাত্মক ইনিংসের পর ফিফটি করলেন আরও দুজন। লোকেশ রাহুল আউট হয়ে গেলেও রবীন্দ্র জাদেজা সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে টিকে আছেন। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় লিড নিয়ে হায়দরাবাদ টেস্টে শক্ত অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দিনে ছড়ি ঘোরান ভারতের স্পিনাররা। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে দলটির ব্যাটাররা দেখিয়েছেন দাপট। ফলে টানা দুদিন ধরে চালকের আসনে রয়েছে তারা। দিনের খেলা শেষে ১৭৫ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪২১ রান। এর আগে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৬ রানে।
এখন পর্যন্ত ক্রিজে যাওয়া ভারতের নয় ব্যাটারের আটজনই পৌঁছেছেন দুই অঙ্কে। ক্রিজে আছেন ছয়ে নামা জাদেজা ৮১ রানে। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও কার্যকারিতা দেখাচ্ছেন তিনি। ১৫৫ বল মোকাবিলায় তিনি মেরেছেন ৭ চার ও ২ ছক্কা। অক্ষর প্যাটেল খেলছেন ৬২ বলে ৩৫ রানে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ চার ও ১ ছক্কা।
চারে নামা রাহুল আউট হন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। ১২৩ বল খেলে তিনি হাঁকান ৮ চার ও ২ ছক্কা। আগের দিন ফিফটি করা জয়সওয়াল এদিন ফেরেন শুরুতেই। ৭৪ বলে ৮০ রান করতে তিনি মারেন ১০ চার ও ৩ ছক্কা।
স্পিন সহায়ক উইকেটে দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার জো রুট। ৭৭ রান খরচায় অনিয়মিত স্পিনারের শিকার ২ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট নিলেও ১৩১ রান দেওয়া অভিষিক্ত টম হার্টলি ছিলেন না ধারাবাহিক। একই দশা আরেক অনভিজ্ঞ স্পিনার রেহান আহমেদের। অভিজ্ঞ জ্যাক লিচ যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন। সফরকারীদের চার স্পিনারের সবাই উইকেট পেলেও একমাত্র পেসার মার্ক উডের ঝুলি এখনও শূন্য।
দিনের প্রথম ওভারেই উল্লাস করে ইংল্যান্ড। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তার আগ্রাসন থামান রুট। প্রথম দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার শুবমান গিল বাজে শট খেলে বেশিদূর এগোতে পারেননি। মিডউইকেটে তিনি বেন ডাকেটের তালুবন্দি হলে বাঁহাতি স্পিনার হার্টলি পান প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের মধুর স্বাদ। গিল ৬৬ বলে করেন ২৩ রান।
ইংলিশদের ম্যাচে ফেরার আশা অবশ্য মিলিয়ে যায় রাহুলের ব্যাটে। ৭২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান তিনি। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ভারত। চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৬৪ ও পঞ্চম উইকেটে জাদেজাকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন রাহুল। শ্রেয়াস স্লগ সুইপ করার চেষ্টায় মাঠ ছাড়েন ৬৩ বলে ৩৫ রানে। পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে হার্টলির দ্বিতীয় শিকার হন রাহুল।
স্রিকার ভরতের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে আরেকটি ভালো জুটি গড়েন জাদেজা। ৬৮ রান যোগ করেন দুজন। জাদেজা ফিফটি স্পর্শ করেন ৮৪ বলে। রুটের বলে ভরত এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ৮১ বলে ৪১ রানে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন রানআউটে কাটা পড়েন দ্রুত। ১১ বলে তার রান ১। দিনের শেষ ঘণ্টা নির্বিঘ্নে পাড়ি দেয় ভারত। জাদেজা ও অক্ষরের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটির রান ৬৩।