নিজ সংসদীয় এলাকা ফতুল্লায় জলাবদ্ধতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সেইসঙ্গে নিজের টাকায় ট্রান্সফরমার কিনে পাম্প বসিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে ফতুল্লার লালপুর জলাবদ্ধতা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে এই আশ্বাস দেন শামীম ওসমান।ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফতুল্লা লালপুর এলাকায় বুক পর্যন্ত ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।শামীম ওসমান বলেন, ‘এলাকার মানুষের কিছু ব্যর্থতা আছে। সে ব্যর্থতা হচ্ছে রাস্তা উঁচু, জায়গাটা নিচু। সে কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ এখানে পানিবন্দি হয়ে আছেন। গতবার আমরা জেলা পরিষদের সহায়তায় তিনটি পাম্প বসিয়েছিলাম। অর্ধকোটি টাকার ওপরে খরচ হয়েছিল। এখানে একটা ট্রান্সফরমার ছিল। সেটি খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে এবার পানি জমেছে। বাড়িঘর তো রয়েছে, বাথরুমের ময়লা মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে প্রবেশ করেছে। এজন্য আমি দুঃখিত, লজ্জিত।’তিনি আরও বলেন, ‘এলজিইডিকে প্রজেক্ট দিয়েছিলাম। মন্ত্রীর কাছে হয়তো প্রজেক্টটা পৌঁছেনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই প্রজেক্ট উনার কাছে পৌঁছালে এলাকাবাসীর এই কষ্ট দেখার পর উনি কাজটা ত্বরান্বিত করবেন।’জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের ট্রান্সফরমার যেটা লাগবে সেটা আমি আমার নিজের টাকায় কিনে দেবো। পরবর্তী বিলগুলো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য এলজিইডির সহযোগিতা লাগবে। আগামীকালের মধ্যে ট্রান্সফরমার কেনার জন্য টাকা দিয়ে দিচ্ছি। আশা করি আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে পানি নামিয়ে ফেলতে পারবো।’এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, ফতুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফায়জুল ইসলাম, বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।