পাকিস্তানে নির্বাচনের প্রায় দু’সপ্তাহ পরে অবশেষে জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে নওয়াজ-শাহবাজের পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে তারা।পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। এককভাবে সর্বোচ্চ ৯৩ আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ আসনে জিতেছে পিএমএল-এন। ৫৪ আসন পেয়ে তৃতীয় হয়েছে পিপিপি।এ অবস্থায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে ছয় দলীয় নতুন জোটের ঘোষণা দেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির বাবা ও পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি। এ সময় তার পাশে ছিলেন অন্যান্য দলীয় প্রধানরাও।কিন্তু এরপরও ক্ষমতা ভাগাভাগির শর্ত নিয়ে কিছুতেই ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছিল না প্রধান দুই দল পিএমএল-এন এবং পিপিপি। সরকারি ও সাংবিধানিক পদগুলোর কে কোনটি রাখবে তা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল সম্ভাব্য দুই শরিকের মধ্যে।
অবশেষে মঙ্গলবার উভয় দলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চিত করেছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও সরকার গঠনে জোটে যোগ দিচ্ছেন।পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি মঙ্গলবার গভীর রাতে উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি।এদিকে, পিপিপি-পিএমএলএন যখন আলোচনায় ব্যস্ত, তার মধ্যেই সরকার গঠন ও জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসন পাওয়ার জন্য সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সঙ্গে জোট গড়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইমরান খানের দল পিটিআই।
তবে পিপিপি প্রধান সংবাদিকদের সামনে বলেছেন, কেন্দ্রে সরকার গঠনে পিটিআইকে সাহায্য করার মতো আসন এসআইসির নেই।