প্রথম দুই বলেই দুই এলবিডব্লিউয়ে শুরু করেছিল নামিবিয়া। এরপর ওমানকে অলআউট করার পথে তারা আরও চারবার এলবিডব্লিউয়ে শিকার ধরে। সবমিলিয়ে ওমানের ছয়জন ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন নামিবিয়ার বোলাররা। আপনি কখনোই এত বেশিবার কুড়ি ওভারের খেলায় এলবিডব্লিউ হতে দেখেননি। দেখবেন কীভাবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই যে এমন কিছু দেখেছে প্রথম।প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো দলের পাঁচজনের বেশি ব্যাটার এলবডব্লিউ হলেন। এর আগে সবচেয়ে বেশি ওই পাঁচজনকেই এভাবে প্যাভিলিয়নে পাঠাতে পেরেছিল কোনো দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটি একবার হয়নি, হয়েছে তিনবার। সবকটিই অবশ্য বিশ্বকাপের সঙ্গে জড়িত। দুটি ঘটনা তো বিশ্বকাপের মূল পর্বেই ঘটেছে। ২০২১ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৪৪ রানে অলরাউট করেছিল যেদিন শ্রীলঙ্কা, সেদিন তারা ডাচদের অর্ধেক উইকেট তুলে নিয়েছিল এলবিডব্লিউর মাধ্যমে।একই আসরে আফগানরা ৬০ রানেই স্কটল্যান্ডের সবকটি উইকেট আদায় করে নিয়েছিল। তখন আফগানিস্তানের বোলাররাও ৫টি উইকেট শিকার করেছিলেন এলবডব্লিউর মারফতে। এই ধরনে পাঁচজনের আউট হওয়ার আরেক যে ঘটনা, সেটি বিশ্বকাপে উঠার মঞ্চে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ে তা করেছিল, সেদিনও প্রতিপক্ষের নাম ছিল নেদারল্যান্ডস।
অর্থাৎ, কোনো ম্যাচে পাঁচজন বা তার বেশি ব্যাটারের উইকেট এলবিডব্লিউয়ের মাধ্যমে খুইয়েছে যেসব দল, তারা সবাই আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ। ডাচরা দুবার, স্কটল্যান্ড একবার। নতুন যোগ দেওয়া ওমানকে একেবারে সবার উপরেই এবার পাঠিয়ে দিল নামিবিয়া।
সোমবার বার্বাডোজে রুবেন ট্রাম্পেলম্যান ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ওমানের দুজনকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন এলবিডব্লিউ বানিয়ে। কাশ্যপ প্রজাপতি ও আকিব ইলিয়াস ফিরে গিয়েছিলেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে। নিজের শেষ ওভার করতে এসে আরেকজনকে একইভাবে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বাঁহাতি এই বোলার। সেবার কলিমউল্লাহ বনেন তার শিকার। মাঝখানে দুই স্পিনার মিলে আরও তিনজনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন।
জিশান মাকসুদকে বাঁহাতি স্পিনার বাঁর্নার্ড শুলজ আউট করেন ২২ রানে। এরপর নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস মোহাম্মাদ নাদিমকে আউট করেন ৬ রানে। শেষে ডেভিড ভিসা ৭ রানে মেহরান খানকে ফিরিয়ে যোগ দেন এলবিডব্লিউর উৎসবে।