নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে এক ব্যক্তিকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্দরের নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ সময় সালিশ বৈঠকে মাকসুদ চেয়ারম্যান ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন বলেও দাবি ভুক্তভোগীর।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী মোস্তফা বাদী হয়ে তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার ও মাকসুদ চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মোস্তফার স্ত্রী বিলকিস আক্তার তিন বছর ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে একবার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটান বিলকিস। তাকে পরকীয়া থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করা হলেও তিনি তাতে রাজি হননি, বরং মোস্তফার সঙ্গে সংসার করবেন না জানিয়ে ডিভোর্স চান।ফলে ১১ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে হাজির হয়ে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দেন মোস্তফা। তালাকের বিষয়টি জানিয়ে তিনি বিলকিস আক্তারের পরিবারকে বাড়িতে আসতে বলেন এবং সামাজিকভাবে কাবিনের টাকা বুঝে নিতে বলেন। পরের দিন বিলকিস আক্তার মোস্তফার বাড়িতে না গিয়ে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেনকে জানালে তিনি বিলকিসকে বাড়িতেই থাকতে বলেন এবং উপজেলা নির্বাচনের পর বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
পরবর্তীতে গত ২৮ জুন সকাল ১০টায় বন্দর থানার কুড়িপাড়া এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেনের বাসায় সালিশের জন্য ডেকে এনে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাপ প্রয়োগ করেন মোস্তফাকে। সেখানে মোস্তফা তালাক দেওয়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানালে উপস্থিত সাবেক মেম্বার কাদির, তার মা, ভাই রহিম, মোক্তার হোসেন, শুক্কুর আলীসহ উপস্থিত সবার সামনেই মাকসুদ চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে চড়-ঘুষি ও লাথি মারে। সেই সঙ্গে মোস্তফা কীভাবে ওই বাড়িতে বসবাস করে সেটাও দেখে নিবেন বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোস্তফা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে ওসি গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।