হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলসহ বিদেশে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য গাজায় জিম্মি করে রাখা ব্যক্তিদের ব্যবহার করবে। আসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সঙ্গে কথা বলার সময় হামাসের নির্বাসিত নেতা আলী বারাকেহ এমন দাবি করেন।
গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তেই এমন মন্তব্য করলেন বারাকেহ। তিনি আরও বলেন, হামাসের কাছে বিপুল পরিমাণ রকেটের সংগ্রহ রয়েছে, যা দিয়ে লম্বা সময়ের জন্য যুদ্ধ চালানো যাবে। আমরা এই যুদ্ধের জন্য ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছি।
এদিকে, সোমবার (৯ অক্টোবর) হামাস হুমকি দিয়েছে যে, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বিমান হামলা চালায়, তাহলে তাদের জিম্মিদের মেরে ফেলা হবে। শনিবার (৭ অক্টোবর) আচমকা ইসরায়েল আক্রমণ করে বসে ফিলিস্তিনি হামাস। সেদিন ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে তারা। একই সময় সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে পড়ে শত শত সশস্ত্র যোদ্ধা। হামাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৯০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি।
এসময় ইসরায়েলের বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে গেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে কতজনকে জিম্মি করা হয়েছে, সেটি বলেনি তারা। কিন্তু, হামাস অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে তারা জানিয়েছে, অপহৃতদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক উভয় ধরনের নাগরিকই রয়েছেন।