নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি দৌলত হোসেন মেম্বার হত্যা মামলার প্রধান আসামী গোগনগর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মো.রুবেলসহ ১৬ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার ( ৯ মে ) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সকল আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
গত বছরের ২৬ জুলাই দৌলত হোসেন মেম্বার রাত ঔষধ ক্রয়ের জন্য বাসা থেকে বের হলে পুরাতন সৈয়দপুর ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে সিএনজি দিয়ে পৌছামাত্রই মেম্বার রুবেলসহ এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আরো প্রায় ১০/১৫ জন পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দৌলত মেম্বারকে সিএনজি থেকে নামিয়ে রামদা দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এবং শীতলক্ষ্যা ব্রীজের ঢালে রক্ষিত পাথর দিয়ে দৌলত হোসেন মেম্বারের হাত-পা ভেঙ্গে গুড়ো করে ফেলা হয়। উক্ত সময়ে মামলার আসামী দৌলত মেম্বারের পায়ের রগ কেটে এবং পা কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং বিবাদীরা চরসৈয়দপুর এলাকায় সিএনজি পাম্পের সামনে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে লোক মারফত দৌলত হোসেন মেম্বারের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে প্রথমে তাকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এঘটনার একদিন পর নিহত দৌলত হোসেন মেম্বারের স্ত্রী সমতাজ বেগম গোগনগর ইউপি সদস্য রুবেলকে প্রধান আসামী করে এবং ইমরান, রানা, হিমেল, শাওন, আমির,হিমু,ফাহাদ,তাওলাদ হোসেন,অঅমির হোসেন,রিহান,হাবিব,সাদ্দাম,শুভ,আবুল কাশেম,মাসুদ,লুৎফর,নাজির,রাসেলসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৩০,তারিখ ২৭/০৬/২২। মামলা দায়ের পর সেলিম নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকী সকল আসামী দীর্ঘদিন ১০ মাস পলাতক থাকার পর অদ্য মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।