নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডস্থ নবীগঞ্জ ঘাটে রিশকা পার্কিং টোলকে পুঁজি করে সর্বত্রই ওপেন চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ইজারাদার রানার বিরুদ্ধে। এখানকার স্থানীয় পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নবীগঞ্জ সড়কে এসব চাঁদাবাজি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী রিশকা চালকরা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে পার্কিং টোল ইজারা নেন রানা নামে এক ব্যাক্তি। নির্ধারিত গাড়ি থেকে টোল আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও অথচ নির্দেশনার বাহিরেও চাঁদা আদায় করছে ইজারাদার রানার লোকজন। এ ছাড়াও রেহাই পাচ্ছেনা পার্কি করা রিশকা চালকরা।
এ দিকে নবীগঞ্জ প্রবেশদ্বার কামাল উদ্দিন মোড়, নোয়াদ্দা রোড, দরগাহ রোড (মাইচ্চা পাড়া), নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল সড়কে সিটি টোলের নামে কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, বাস, মেক্সি লেগুনা ও পিকআপ থামিয়ে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা রশিদের মাধ্যমে চলছে এ ওপেন চাঁদাবাজি।
অপর দিকে নবীগঞ্জ ঘাটে রিশকা পার্কিং টোল আদায়ের নামে ৫ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজরা। প্রতিদিন প্রায় ৩০০/৪০০ রিশকা যাতায়াত সহ শতাধিক রিশকা পার্কিং করে রাখা হয়। এগুলোর কাছ থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করা হয়। আর সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না চাঁদাবাজরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পার্কিং রিশকা চালকরা জানান, আমরা পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে রিশকা নিয়ে বের হই, যাত্রী নিয়ে ঘাটে এসে পার্কিং করলেই ৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই ঘাটে রিশকা পার্কিং করতে দেয়া হয়না। আমাদের কিছু করার নেই টাকা দিয়েই পার্কিং করতে হয়।
রিশকা পার্কিং থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নবীগঞ্জ টোল ইজারাদার রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৫ টাকা করে নেয় ঘাটের লাইনম্যানের জন্য, তারা ঘাটে রাস্তা পরিস্কার করে রাখে মনে হয় ৫ টাকা করে নেয়।
এ বিষয় বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সেপেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিমের সরকারি ব্যবহিৃত ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেনি।
জানতে চেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক এর সরকারি ব্যবহিৃত ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেনি। যার জন্য কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।