বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বন্যায় আহতদের সুস্থ্যতা কামনা ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লা থানাধীন চৌধুরী কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, ৫ আগষ্টের পরে রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট সেটা উত্তোলনের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে রাজপথে ছিলাম। রাজপথে থেকে খুনি হাসিনাকে হটানোর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। ৫ আগষ্টের পূর্বে আমরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী কোন কাজ করতে পারিনি কিন্তু বর্তমানে লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা যখন খুশি যা খুশি করতে পারছি। নিজের সম্পদ ধ্বংস করেছি রাজনীতি করার জন্য। ৫ তারিখের পর একটি শ্রেণি দেশে লুটপাট শুরু করেছে। তারা সেই সুযোগে অপেক্ষায় ছিলো সেটাকে তারা কাজে লাগিয়েছে আর আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমান যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হলো, যদি দলের কোন নেতাকর্মী কোন জ্বালাও-পোড়াও, ভূমিদস্যুতা, চাদাঁবাজী করে তাহলে সে আমার দলে কর্মী নয়। সেটাই আমরা বুকে ধারন করেছি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন গডফাদার ছিলেন, তাকে আপনারা গডফাদার বলেন। আর আমি তাকে বলতাম চিকা শামীম, বোরকা শামীম, পাকনা শামীম। কেনো বলতাম জানেন, কারন আমার ভিতরে সেই সাহস ও মনোবল ছিলো। ২০১৭/১৮ সালে বোরকা পড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারনে তাকে ধমক দিয়েছিলাম। এজন্য আমাকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লগতে হয়েছে, আমাকে গুম করা হয়েছিলো, তিনটি অস্ত্র মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করা হয়েছিলো। এতে করে কিন্তু আমার মুখ বন্ধ করতে পারেনি। আমি জানি যারা শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় ছিলো তারা নারায়ণগঞ্জকে ভালো রাখতে পারেনি, তারা নারায়ণগঞ্জকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধুমাত্র তার বাড়িতেই হামলা করা হয়েছে আর কারো বাড়িতে কোনপ্রকার হামলা হয় নি। সে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে এমন ভাবে ব্যবহার করেছে যার ফলে সাধারণ মানুষ বিতৃষ্ণা হয়ে গিয়েছিলো। পাগল-ছাগল আর মাদকাসক্তদের দিয়ে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করতে চেয়েছিলো সেটা তারা পারেনি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক সন্ত্রাসী বাহিনী ছিলো এবং তাদের কাছে অনেক অস্ত্রও ছিলো। আমরা বার বার বলছি, কার কাছে কি অস্ত্র আছে আমরা তা জানি। ৫ তারিখে সে অস্ত্রগুলো আমাদেরকে বিতাড়িত করতে ব্যবহার করা হয়েছিলো। সেগুলো আপনারা প্রশাসনের কাছে জমা দিন। নইলে যদি আমরা অস্ত্র উদ্ধারে নামি তাহলে আপনারা বাড়ি-ঘরেও থাকতে পারবেন না। আমাদের পাশেই রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী। অনেকে আমার নাম বলে ঐসকল শিল্প কারখানায় গিয়ে মাল নামাতে চায়, বিল্ডিং এর কাজ চায়। সব মালিকরা ভাবে রনি যেহেতু শামীম ওসমানকে ধমক দিয়েছে হয়তো সে আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানের মত সন্ত্রাসী। কিন্তু আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই আমার সাথে যারা রাজনীতি করে ৫ তারিখের পর আমাদের কাজ ছিলো ফতুল্লা থানা, পুলিশ লাইন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পাহারা দেয়া। যদি কেউ প্রমান করতে পারে আমার সাথে যারা রাজনীতি করে তাদের কেউ গার্মেন্টস কারখানার মাল চেয়েছে তাহলর নাকে খত দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান দোলন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. আলমগীর, মহিলা দল নেত্রী ও সাবেক মহিলা মেম্বার রোজিনা আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফতুল্লা থানা যুবদল নাদিম হাসান মিঠু, থানা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।