নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতভর এই সংঘর্ষ হয়।
এরপর শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ পারভীন বীথির নেতৃত্বে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আহতরা হলেন- মোবারক, বিল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আমির হোসেন, মতিউর রহমান, হামিদ, রুবেল ও মেহেদীসহ ১০ জন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ার বিএনপির কয়েকজন নেতা রাতে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ১০-১২টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে আড়াইহাজার থেকে বালু কাটতে কাটতে সোনারগাঁয়ের চেঙ্গারকান্দী চলে যায়।
এসময় চেঙ্গারকান্দীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে একটি বালুর বোট আটক করে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারকের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, বালু নিয়ে সমস্যা হয়েছে শুনেছি। তবে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজ্জাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বালুর কোনো ইজারা নেই। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ পারভীন বীথির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।