নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিল মারাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংষর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
একই সঙ্গে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারা ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও লাঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকায় ও বাকিদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে লোটন কেন্দ্রে গেলে সেখানে নৌকার সমর্থকরা কেন্দ্রে জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়। এসময় লাঙ্গল সমর্থকরাও স্লোগান শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহীন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আলমগীর সিকদার লোটন বলেন, কেন্দ্র দখল করে নৌকার লোকজন সিল মারার সময় আমরা বাধা দিলে তারা হামলা করে। পুলিশ আমাদের দিকে গুলি করে। পরে কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়। আমাদের ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার পায়েও গুলি করা হয়েছে।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে লোটন বলেন, আড়াইহাজারের প্রায় সকল কেন্দ্র থেকেই তার এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনোভাবেই সুষ্ঠুভাবে প্রতিদ্বন্দিতা করা সম্ভব নয়। তাই আমি নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে ভোট বর্জন করলাম।