1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
নারায়ণগঞ্জ নগরীতে অধিকাংশ ভবনেই নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা,বহুতল ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্টুরেন্ট - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠক বিএনপি’র বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তার-৩ বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি মনির গ্রেপ্তার র‍্যাব-১১ কর্তৃক বন্দরে সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজলকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ সোনারগাঁয়ে ‘শেখ হাসিনা আসবে স্লোগানে ঝটিকা মিছিল জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে এটা আমাদের অঙ্গীকার : নাহিদ নারায়ণগঞ্জে সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে মার্চ ফর ড. ইউনূস কর্মসূচি পালিত গাজায় ইসরাইলী গনহত্যায় ফিলিস্তিনি শহীদদের স্বরনে বন্দরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ নগরীতে অধিকাংশ ভবনেই নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা,বহুতল ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্টুরেন্ট

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৬০ Time View


নারায়ণগঞ্জ নগরীতে অধিকাংশ ভবনেই নেই অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগরীতে নতুন নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অগ্নিনিরাপত্তা ছাড়পত্রের তোয়াক্কা না করেই। অধিকাংশ ভবনেই নেই জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার লিফট ও ফায়ার কমান্ড স্টেশন। ফলে মারাত্মক অগ্নি-ঝুঁকিতে রয়েছে নগরীর বেশির ভাগ ভবন।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী ভবন নির্মাণের আগে তাদের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের শতকরা মাত্র ৫ জন ভবন মালিক বা এর কিছু কম বেশি। আবার অনাপত্তিপত্রের সব শর্ত পূরণ করে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়ে নির্মিত হয়েছে মাত্র ১ ভাগ ভবন। কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট-বিপণিবিতানকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে এসব ভবন ও মার্কেটের কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে নগর পরিকল্পনাবিদরা জানিয়েছেন।
হোটেল-রেস্টুরেন্ট
তারা বলেন, বিল্ডিং কোড অনুসারে নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ হয়েছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব নগর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু তাদের কোনো নজরদারি নেই। অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় আনতে না পারলে নারায়ণগঞ্জেও রাজধানীর বেইলি রোডের মতো বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী নগরীতে প্রায় ৫ হাজারের মতো বহুতল ভবনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভবন আবাসিক এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভবনগুলোই সবচেয়ে বেশি আগুনের ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বহুতল ভবনের পরে নগরীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বিভিন্ন কলোনি, মার্কেট, শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলো। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। সেই ভবনে আবার ছাদের ওপর রেস্টুরেন্ট খুলে সিলিন্ডার গ্যাসে চলে রান্না। এখনো নারায়ণগঞ্জ শহরের ভবনগুলো প্ল্যান রাজউক ও নাসিক থেকে দেয়া হয়ে থাকে। শহরের বেশির ভাগ এলাকায় এখন এটি খুবই স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, ছাদের ওপর রেস্টুরেন্ট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এসব রেস্টুরেন্ট করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মুখপাত্র আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বেআইনিভাবে এসব গড়ে উঠছে। বেশির ভাগেরই বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমোদন নেই। আমরা কমিটি করে এসব অনুমোদনহীন ভবনের সব কার্যক্রম সিলগালা করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেব।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, ভবনের মধ্যে রেস্টুরেন্টের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আমরা ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমোদন আছে কি না এগুলো চেক করি। আবাসিক এলাকায় যেসব রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে এগুলোর কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স দেই না। শহর এলাকায় ছাদে রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স দেওয়া সাধারণত বন্ধ। অথচ আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও অনেক ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এমনকি বহু রেস্টুরেন্ট সেখানে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। আবাসিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি দেখে সাধারণত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শহরে রেস্টুরেন্ট আছে অর্ধশতাধিক। এগুলোর অধিকাংশই বহুতল ভবনে অবস্থিত। নানা দেশি-বিদেশি এসব রেস্টুরেন্টে রান্না হয় গ্যাস সিলিন্ডারে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের সমাগম হয় সেখানে। কিন্তু নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই। শুধু চাষাঢ়া নয়, ২নং রেলগেট, জামতলা, ডিআইটি শুরু করে বিভিন্ন অলিগলিতে চলছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। সবগুলোতে রান্নার কাজ চলে সিলিন্ডারে। বেইলি রোডের যে ভবনটিতে আগুন লাগে, সেখানেও ছিল না রেস্টুরেন্টের অনুমতি। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক এ ভবনে অফিস স্পেস হিসেবে রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভবনের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল রেস্টুরেন্ট। একটি দোকান ছাড়া অন্য সবগুলোতে খাবারের দোকান ছিল। এসব রেস্টুরেন্টে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলো থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে নেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রেস্টুরেন্টের এক দিকে কিচেন তৈরি করে গ্যাস সিলিন্ডারে চলে রান্না; অন্যদিকে চেয়ার-টেবিলের পসরা সাজিয়ে পরিবেশন করা হয় খাবার।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ ভবন এখন এমনভাবে তৈরি হচ্ছে সেখান থেকে বের হওয়ার পথ নেই অথবা থাকলেও সেগুলো খুবই সংকীর্ণ। যার কারণে বড় দুর্ঘটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে যেসব অফিস বা প্রতিষ্ঠান আছে তাদের নিজস্ব অগ্নিনিরাপত্তা থাকার পাশাপাশি ভবনটির আলাদা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এতে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি হ্রাস করা যায়।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (বিকাল ৫:৪০)
  • ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL