নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার (৬ মে) বিকেলে বন্দরে মদনপুর স্ট্যান্ডে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। সেই সঙ্গে দুজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।এর আগে একই এলাকায় গত রোববার সন্ধ্যায় একই প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় প্রার্থীর শ্যালকসহ তিনজন আহত হয়েছিলেন।
আতাউর রহমান মুকুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মাধ্যমে মদনপুর ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে মাইকে প্রচারণা চলছিল। এসময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশিদের লোকজন হামলা চালায়। মাইকে প্রচারকারী ও অটোরিকশার চালককে বেধড়ক মারধর করা হয়।তিনি আর বলেন, এই হামলাকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ কর্মী অহিদ। মারধর ও অটোরিকশা ভাঙচুরের পর তারা মাইকটিও ছিনিয়ে নেয়। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই হামলার বিষয়ে জানি না। আমার কোনো সমর্থক এর সঙ্গে জড়িত নয়।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।