তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, এবারের নির্বাচনে জনগণের আস্থায় তৃণমূল বিএনপি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর যদি নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো হয়, তাহলে তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকার খন্দকারবাড়িতে তৃণমূল বিএনপির উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে গুলি খেয়েছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি অনেক। বিএনপি আমাকে প্রয়োজন মনে করে না তাই তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। দেড় বছর অপেক্ষার পর একপর্যায়ে বুঝতে পেরেছি দল আমাকে চায় না। দল থেকে বহিষ্কারের পরে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়নি বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি আমার রক্তে মিশে আছে তাই আমাকে তো রাজনীতি করতেই হবে। এ কারণে আমি তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। যে দলের সঙ্গে জোট হবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী দেওয়া হবে। রূপগঞ্জের মানুষ চাইলে রূপগঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো। রূপগঞ্জের মানুষদের চাকরি দিয়ে আমি ২৮ মাস জেল খেটেছি।
তৃণমূল বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করবে নাকি বিএনপির সঙ্গে জোট হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির পরিবেশ মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হয়। সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
এ সময় কাঞ্চন পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলহাজ আবুল কালাম মাওলা, রূপগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মজিবুল্লাহ, তারাব পৌর ওলামা দলের সভাপতি কামাল খান, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, সাবেক সভানেত্রী রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা দল, তারাব পৌর বিএনপি নেতা আলী মেম্বার, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফারুক, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।