বল হাতে মার্কো ইয়ানসেন, ড্যান পিটারসেন এবং কোর্বিন বশ যেভাবে জ্বলে উঠেছিলেন, ঠিক সেভাবে পারেননি কাগিসো রাবাদা। তবে ব্যাট হাতে যেন তার ষোলো আনা পুষিয়ে দেন তিনি। মূল ধারার ব্যাটাররা যখন সাজঘরে তখন মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট পেল দক্ষিণ আফ্রিকা
রোববার সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য এক দিন হাতে রেখেই পারি দেয় দলটি।
অথচ মোহাম্মদ আব্বাসের আগুন ঝরানো দলীয় ৯৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে হারের পথে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে একাই ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন আব্বাস। কিন্তু এরপর ইয়ানসেনের সঙ্গে কী দারুণ ব্যাটিংই না করলেন রাবাদা। অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যেখানে ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাবাদা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্ট জয়ে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট শতাংশ ৪৭.৬২%। এখনও একটি ম্যাচ বাকি তাদের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পয়েন্ট শতাংশ যথাক্রমে ৫৮.৮৯ ও ৫৫.৮৯। অস্ট্রেলিয়ার তিনটি ম্যাচ বাকি থাকলেও ভারতের রয়েছে স্রেফ একটি। সেটাও আবার মুখোমুখি লড়াই। তাতে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় প্রোটিয়াদের।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম। এরপর আব্বাসের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। পরে ডেভিড বেডিংহ্যামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন বাভুমা। ৩৪ রানের জুটিও গড়েন তারা।
বাভুমাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্বাস। স্কোরবোর্ডে আর তিন রান যোগ হতে তো বড় বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৯৯ রানে তিন ব্যাটারকে হারায় দলটি। কাইল ভেরেইনাকে বোল্ড করে দেন নাসিম শাহ। আর বেডিংহ্যাম ও বশকে উইকেটরক্ষক উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখান আব্বাস।
তবে পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে রাবাদা ও ইয়ানসেনের ব্যাটে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের মতই ব্যাট করে দারুণ সব শট খেলেন রাবাদা। দারুণ খেলেন ইয়ানসেনও। এ দুই ব্যাটারকে আর আউট করতে না পারলে হারতেই হয় পাকিস্তানকে। এতো দিন কাগজে কলমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকলেও একই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় তাদের আশাও।
৭৮ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন বাভুমা। ৬৩ বলে মার্করাম করেন ৩৭ রান। ২৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাবাদা। ২৪ বলে ৩টি চারে ১৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইয়ানসেন। পাকিস্তানের পক্ষে ৫৪ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নেন আব্বাস।