কাশীপুরের ফরাজিকান্দায় বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের আদেশ অমান্য করে জাকির হোসেনের ৪০ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে মামলার বিবাদী ইব্রাহীম খলিল, ফরাজিকান্দা জামে মসজিদের সভাপতি সলিমুল্লাহ, পাইকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম মৃধাগন বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে আদালতের আদেশ অমান্য করে আবারো একই জমিতে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ করতে থাকলে এ সময় ফতুল্লা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করেন এবং আদালতের আদেশ অমান্য করায় মামলার বিবাদীদের ডাকলে তারা সেই ডাকে সাড়া দেননি।
এর আগে, গত ১৩/০৮/০৭ইং তারিখে দেঃ কাঃ বিধির ৩৯ আদেশের ১রুলের এবং ১৫১ ধারার বিধান মতে বিবাদীগন যাহাতে নালিশা ভূমিতে বেআইনী ও অবৈধভাবে কোন ঘর উত্তোলন করিতে না পারে বা কোন প্রকার নির্মান কাজ করিতে না পারে তন্মর্মে ১-৩,৫-১৫নং বিবাদীগনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন ‘করিলে বিজ্ঞ আদালত ৭ দিনের সোকজ, আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে গত ২৬/০৮/০৭ ইং তারিখে (১১নং আদেশে) বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞায় আদেশ দিয়াছিলেন। নালিশা ভূমিতে কোন আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত ১৫ দিনের কারন দর্শানোর আদেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিবাদীগন নালিশা ভূমি তে যেকোন প্রকার নির্মান কাজ করা হইতে বিরত থাকিলে বাদীগন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আর কোন শুনানী করে নাই। কিন্তু পরবিত্তলোভী বিবাদীগন বর্তমানে নুতন করিয়া নালিশা দেওয়াল নির্মানের চেষ্টা করে।১৭/০২/২৫ তারিখে সকাল ৯ঃ০০ টায় জোরপূর্বক তার জমিতে ইট বাল জোর করে কাজ শুরু করে এই সময় কাজে বাধে।বাদী পক্ষের তদ্বীরকারকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এমতাবস্থায় তাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে মাথায় অনেকগুলি শিলি দিতে হয়। এ বিষয়টি নিয়ে পাড়া মহল্লায় তোর পল সৃষ্টি হলে মহল্লা বাসীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে এবং বিবাদীগণ যেকোনো অবস্থায় এই জায়গায় নির্মাণ করবে বলে হুমকি দেয়।
মামলার প্রতিবেদনে বলা হয় (প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো) , এই যে, সূত্রোক্ত মামলাটি ফতুল্লা মডেল থানায় প্রাপ্তির পর অফিসার ইনচার্জ, মহোদয় আমার নামে হাওলা করেন। হাওলামতে এবং বিজ্ঞ আদালতের পূর্বের অন্তর্বর্তীকালীন পূর্বের আদেশ অনুযায়ী আমি উহার দায়িত্বভার গ্রহণ করিয়া এবং বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গত ১৭/০২/২০২৫ইং তারিখে উভয় পক্ষের স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য মামলার ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ফরাজীকান্দা সাকিনে গেলে আমার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষই শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। যাহার প্রেক্ষিতে ১ম পক্ষ- জাকির হোসেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফতুল্লা আমলী আদালত, নারায়ণগঞ্জ-এ পিটিশন মামলা নং- ১০৮/২০২৫ইং, খায়া: ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৫৪/৩০৭/৫০৬ (২)/১১৪/৩৪ দঃ বিঃ দায়ের করে এবং ২য় পক্ষগণ ফতুল্লা থানার মামলা নং- ২২, তারিখ- ১৭/০২/২০২৪ইং, ধারা: ১৩৪/৩২৩/৩২৬/৩৭৯/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।
তৎপরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ নং-১২৪, তাং- ২৩/০২/২০২৫ইং মূলে মামলার ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ফরাজী কান্দা সাকিনে উপস্থিত হইয়া ১ম পক্ষের দেখানো মতে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এসময় ১ম পক্ষের মানিত সাক্ষী ও উপস্থিত স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে ফৌঃ কাঃ বিজঃ ১৫১ ধারা মোতাবেক উভয় পক্ষকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারী করিয়া জারীকৃত নোটিশের বিপরীতপৃষ্ঠায় তাহাদের উভয় পক্ষের স্বাক্ষর গ্রহণ করি। কিন্তু ৬নং বিবাদী- ইব্রাহিম খলিল, ১৪নং বিবাদী- ফরাজীকান্দা জামে মসজিদের সভাপতি-ছলিমুল্লাহ, ১৫নং বিবাদী পাইকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি- নিজাম মৃধাগণ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া নালিশী ভূমিতে জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ করে মর্মে প্রতীয়মাণ হয়। প্রকাশ থাকে যে, মামলার ঘটনাস্থলে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে আশংকা চলমান আছে।