বন্দরে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া লাগামহিন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছে ভূক্তভোগী ভাড়াটিয়ারা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বন্দরের রুপালী আবাসিক, আমিন আবাসিক, র্যালী আবাসিক, লেজারার্স ও একরামপুর, ইস্পাহানী এলাকাসহ তার আশে পাশের এলাকাগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২২ ইং সালে বাসাভাড়া অতিরক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ লোভী বাড়ী ওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে বছর গুরে এলে নানা অজুহাত দেখিয়ে মাসিক ভাড়া বৃদ্ধি করে আসচ্ছে। কথায় কথায় বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি এখন বন্দরের ভাড়াটিয়াদের কাছে এক দুঃস্বপ্ন। এ ব্যপারে বন্দর সালেনগর এলাকার হালিমা নামে এক গৃহবধূ এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে,আমাদের বাড়ীওয়ালা বছর এলেই বিদুৎ, গ্যাসের অজুহাত দেখিয়ে বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি করে থাকে। এ বছরেও এর কোন বেতিক্রম হয়নি। দুঃখের বিষয় হল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারনে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। যে কারনে গত মাসের বাড়ী ভাড়া বকেয়া আছে। নানা অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে আমাকে সংসার চালাতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার এ মাসের অতিরুক্ত বাড়ীভাড়া দিতে হবে।
জানা গেছে, বাড়ীভাড়া নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন রয়েছে। তবে ১৯৯১ সালের বাড়ীভাড়া আইনের কোন প্রয়োগ নেই। এমনকি বাড়ীভাড়া মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষা করার কেউ চেষ্ট করছে না। বন্দরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ হল ভাড়াটিয়া। অর্থলোভী বাড়ীওয়ালাদের যখন খুশি তখন বাড়ী ভাড়াবৃদ্ধি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী ভাড়াটিয়ারা।