বন্দরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সাথী আক্তার (১২)। সে বন্দর বাড়ৈইপাড়া এলাকার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার মেয়ে। একই দিন মর্গে এসে নিহতের স্বজনরা কিশোরীর লাশ চিহ্নিত করে।
এঘটনায় নিহত কিশোরীর মা মুর্শিদা বেগম বন্দর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন ১জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতের নাম ফয়সাল, ঘারমোড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সে। রবিবার (২৩ জুন) ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে তাকে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত সাথী ৮ ভাই-বোনের মধ্যে পরিবারের সপ্তম সন্তান। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ দেখতে নিজ বাড়ি থেকে সাথী বের হয়। এর পর থেকেই নিখোঁজ সাথী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে মর্গে লাশ দেখতে গিয়ে পড়নে প্যান্ট গেঞ্জি দেখে চেনা যায় নিহত ব্যক্তি হলেন সাথী আক্তার।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই অভিজিৎ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, লাশ অনেক পচে যাওয়ায়, উদ্ধারের সময় পড়নে শার্ট-প্যান্ট ও মাথার চুল ছোট ছিল বলে বোঝা যায় নি নিহত ব্যক্তি ছেলে কি মেয়ে। মর্গে পাঠানোর পর জানতে পারি নিহত ব্যক্তি একজন কিশোরী। থানায় নিহতের মা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় তদন্ত কাজ করছি। এরই মধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফয়সাল নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার ৭ দিনের আবেদন চেয়ে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ঘটনার রহস্য উন্মোচনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।