স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার এজহারভূক্ত আসামি আব্দুর রহিমের হুমকি পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী।
এদিকে আসামি আব্দুর রহিম বীরধর্পে বাসায় থেকে প্রতিদিন ফতুল্লা ইউরোটেক্স গার্মেন্টসে অফিস করলেও তাকে খোঁজে পাচ্ছে না বন্দর থানা পুলিশ। তাই নিরুপায় হয়ে দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছে বাদী।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার বাগবাড়ী গ্রামের মৃত আলী আজগরের ছেলে বিয়ে পাগল আব্দুর রহিম তার ভাই সন্ত্রাসী পাগলা রশিদের সহযোগিতায় যৌতুকের জন্য তার ২য় স্ত্রীকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেন এবং হত্যার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় বিয়ে পাগল আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে তার ২য় স্ত্রী সীমা বিগত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনালে ১১ (খ) ধারায় মামলা করলে আদালত বাদী ও তার ২ ছেলের বক্তব্য শুনে এবং আঘাত দেখে মামলাটি সরাসরি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এফ.আই.আর হিসাবে নেওয়ার নির্দেশ দেন। যাহা বন্দর থানার মামলা নং ২(৬)২৩।
মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আসামি বিয়ে পাগল আব্দুর রহিম ও তার ভাই পাগলা রশিদ পুলিশের সহযোগিতায় মামলার বাদীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এমনকি বাদীর ২ ছেলে ও মেয়েকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাদী। তাই মামলার আসামি আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার ও তার ভাই পাগলা রশিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বুধবার দুপুরে মামলার বাদী সীমা আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে আসামীর ভাই পাগলা রশিদের হুমকির অডিও রেকর্ডগুলো সংযুক্ত করে পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে বাদী আসামীকে গ্রেফতার ও তার দুই ছেলেকে যাতে মিথ্যা ও সাজাঁনো মামলা দিতে না পারে সে জন্য ব্যবস্হা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
ওই মামলার এজহারভূক্ত আসামি আব্দুর রহিমের ব্যবহ্ত মোবাইল নম্বর ০১৯০২৭০৫২৪৬ ফোন দিলে তিনি বলেন, বন্দর থানার ওসির সাথে আমার ভাই রশিদের কথা হইছে। বন্দর থানার ওসি ও আইও দ্রুত মামলাটির ফাইনাল রির্পোট দিয়ে দিবে, আর আমাকে বাসায় থাকতে বলছে।
ওই মামলার বাদী সীমা বলেন, আমার স্বামীর বর্তমানে আরো ৪ টি স্ত্রী আছে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ১য় ও ৩য় স্ত্রীও যৌতুকের মামলা করেছেন। আমাকে মামলা প্রত্যাহার না করলে আমার ছেলে ও মেয়েদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ জন্য আজ আমি সংবাদ সম্মেলন করলাম এবং পুলিশ সুপারের কাছে হুমকির অডিও সংযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মাদ মনির হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত আসামি গ্রেফতার না হওয়া দু:খ জনক। একজন এজহারভূক্ত আসামি বাসায় থেকে প্রতিদিন ইউরোটেক্স গার্মেন্টসে চাকরি করলেও আসামী খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। তাই বাদী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। প্রয়োজনে এ বিষয় নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আরিফ পাঠান বলেন, আসামিকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ে আসামী গ্রেফতার হবে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মামলায় আসামির হুমকিতে পলাতক বাদী, আসামী খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ! গ্রেফতারে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন।