1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
বন্দরে ভাই, ভাবি ও ভাইয়ের শাশুড়ি মিলে হত্যা করলো শিশু সৌরভকে - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
এমপি মন্ত্রী মেয়র চেয়ারম্যান মেম্বর কাউন্সিলর তারা কেউ সঠিকভাবে কোনে কাজ করে নাই- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বন্দরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক স্বৈরশাসক তিন তিনটি নির্বাচন করে জনগণকে ভোটের অধীকার হরণ করেছে – গিয়াসউদ্দিন ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও করোনা সচেতনতায় ২৩ ও ২২নং ওয়ার্ডে আশার মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জে বোমা হামলা বিচারের অপেক্ষায় ২৪ বছর নারায়ণগঞ্জে ব্যাংক থেকে কারখানা যাওয়ার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই অ্যাতলেতিকোকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজির উড়ন্ত সূচনা করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে জরুরি নির্দেশনা জাকির খানের নির্দেশে এখনও আমরা রাজপথে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখি:এরশাদ আহমেদ রূপগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সংবাদ সম্মেলন

বন্দরে ভাই, ভাবি ও ভাইয়ের শাশুড়ি মিলে হত্যা করলো শিশু সৌরভকে

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৩৬ Time View

বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় শিশু সৌরভ (৭)’র মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ও হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ।
নিহতের সৎ ভাই সানি, ভাবি আয়েশা আক্তার ও ভাইয়ের শাশুড়ি শিল্পী বেগম মিলে পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্বাসরোধে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশে শিল্পী বেগমের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। রাতের আঁধারে বাড়ির পাশে কচু ক্ষেতের ঝোপে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পর দিন বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কুড়িপাড়া এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সৎ ভাই, ভাবি ও ভাইয়ের শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে ও নিহতের সৎ ভাই সানি (১৯), তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (১৮) ও তার শাশুড়ি শিল্পী বেগম (৩৫)। তারা সবাই বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া বটতলা এলাকার রাজা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা এ তথ্য জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বন্দরের কুড়িপাড়া এলাকা থেকে শিশু সৌরভের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তদন্তে নামে পুলিশ। এ ছাড়া পরিবার সদস্যদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হচ্ছিল। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের সৎ ভাই সানিসহ তার শ্বশুরবাড়ির চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সানি, তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও শিল্পী বেগম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে শুক্রবার সকালে নিহতের বাবা সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের তিন জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।’
নিখোঁজের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে শিশু সৌরভ নিখোঁজ হয়। তার বাবা সালাউদ্দিন মিয়া অটোরিকশা চালক। তার মা কুলসুম বেগম ঝুট বাছাইয়ের কাজ করেন। তিনি দুপুরে বাড়ি ফিরে শিশু সৌরভকে খোঁজাখুঁজি করে পাননি। এ বিষয়ে সে তার বড় ছেলে সানি ও ছেলের বউ আয়েশা আক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন। ওই সময় তারা এসব বিষয় জানে না বলে এড়িয়ে যায়। পরে কুলসুম বেগম বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও থানায় জিডি করেননি।’ ‘দুদিন পর বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ এলে এর খোঁজ করতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে লাশের সন্ধান মেলে। লাশ উদ্ধারের পরে তার সৎ ভাই সানি, ভাবি আয়েশা আক্তার ও সানির শাশুড়ি শিল্পী বেগমকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা খুনের বিষয়টি স্বীকার করে। কারণ উল্লেখ করে তারা জানিয়েছে, সাত মাস আগে সানি প্রেম করে আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তারা (সানি ও তার স্ত্রী এবং সৎ ভাই সৌরভ ও তার পরিবারের সদস্য) একই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। শিশু সৌরভ দিনে রাতে বিভিন্ন সময় ভাই ও ভাবিকে বিরক্ত করতো ও তাদের সাথে দুষ্টামি করতো। এ কারণে তারা বিরক্ত ছিল। এই বিরক্তের বিষয়টি তারা শাশুড়িকে জানায়। তখন শাশুড়ি তাদের বলে, ‘‘এভাবে চলতে থাকলে তো তোমরা সংসার করতো পারবে না’’। ফলে তারা সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সৌরভ তার মায়ের সঙ্গে কর্মস্থলে দেখা করে বাড়িতে চলে আসে। এ সময় বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে ছিল। এই সুযোগে ফাঁকা পেয়ে সৎ ভাই সানি সৌরভকে শাশুড়ি শিল্পী বেগমের ঘরে ডেকে নেয়। সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে সেখানে শিল্পী বেগম তার ঘরে সৌরভকে গলা চেপে ধরে ও সানি পা চেপে ধরে। এ সময় ঘরের বাইরে পাহারা দেয় আয়েশা। পরে শাশুড়ির ঘরের খাটের নিচে লাশ লুকিয়ে রাখে। ৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড়ির অদূরে কচু ক্ষেতে (ঝোপে) লাশটি ফেলে দেয়। পরের দিন দুপুরে দুর্গন্ধ পেয়ে লাশের সন্ধান মেলে।’#

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ৩:০৬)
  • ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL