বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ নেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভিতরে ভূমি কর্মকর্তা আতাউর রহমাম চেয়ারে বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘুষের টাকা নিয়ে দর কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি টাকা পকেট থেকে বের করে আতাউর রহমানের নির্দেশে অফিস সহকারির কাছে দেন, পরে ওই টাকা তাঁর সামনেই পকেটে ঢোকান। অফিসের মধ্যে টেবিলে বসে ঘুষ নেয়ার ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে ভূমি অফিস বাইরে লেখা “দূর্নীতি মুক্ত অফিস” আর ভিতরে চলছে ঘুষ বাণিজ্য।
মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্র জানায়, নামজারি করার জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়া হয়। ঘুষের টাকা নিজ হাতে আদায় করেন জনি ও রাশেদ। টাকা আদায় ও অফিসের সকল ফাইল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জনিকে। এর জন্য তাকে চেয়ার-টেবিলসহ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভূমি অফিসের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবেও জনির খ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নামজারি করার সকল ফাইল ও খরচ জনি ও রাশেদ এর কাছে দিতে হয়। ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসাব করে জনি ও রাশেদ প্রতিটি ফাইলের জন্য ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দিলে নামজারি করা হয় না। দলিল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও টাকা না দিলে বিভিন্ন অযু হাত দেখিয়ে নামজারির প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মদনগঞ্জ ভূমি অফিসে কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আমার অফিসে এরকম কোন ঘুষের কারবার হয়না। প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার ভিডিও’র বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এগুলো সব মিথ্যা কথা, এখানে এসব হয়না।
বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিষা রানী কর্মকারকে একাধিকবার তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।