বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ। এসময় গুলিবর্ষণ ও ৫/৬টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনার পর রাতেই কাজী সোহাগকে অভিযুক্ত করে ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিএনজি স্ট্যান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা।
এর আগেও বন্দর ঘাটে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগ বাহিনী। পরবর্তী সময়ে চাঁদাবাজ সোহাগকে বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি শ্রমিকরা বিতাড়িত করে দেয়।
এদিকে প্রায় ২ মাস পর পূনরায় বন্দর ঘাট নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কথিত যুবদল নেতা কাজী সোহাগের নেতৃত্বে সতেজ,আকাশ, কিমন খান, রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কালা জাহাঙ্গীর, শাহীন,শুভ,বপ্পি, আব্দুর রহমান পরিকল্পিত ভাবে বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলা চালায়। এসময় ৫/৬টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়। এবং কাজী সোহাগের সাথে থাকা পিস্তল উচিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরবর্তী সময়ে আশেপাশের শ্রমিক সহ উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে কাজী সোহাগ সহ তার বাহিনীকে ধাওয়া দিলে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সিএনজি স্ট্যান্ডে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
এবিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, আমরা এক পক্ষ অভিযোগ পেয়েছি। তারা বলছে গুলি করছে, এমন কোন খবর পাইনি। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।