বন্দর প্রতিনিধি // বন্দরে বিরোধী দলের হরতাল সমর্থনে ছাত্রদলের মশাল মিছিলের সময় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা ও সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাহিম (২৮) ও হাসিবুল ইসলাম (৩০)কে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অকটেন ও এক প্রকারের পাউডার উদ্ধার করেন। ২৯ নভেম্বর ( বুধবার) রাত পৌনে ৮ টার সময় নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের বাগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র মতে, বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে বাগবাড়ি এলাকায় ঝটিকা মশাল মিছিল করে। বুধবার রাতে মশাল মিছিল করার সময় বাদশা মৃধা ও সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন গিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বন্দরের রাজবাড়ী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে ফাহিম ও হাসিবুল ইসলামকে আটক করে। মশাল মিছিল ও ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীদের আটকের সংবাদে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর, জাকির হোসেনসহ সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। সরকারদলীয় নেতারা উপস্থিত থেকে বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক লক্ষনখোলা এলাকার রোমান ও মদনপুর এলাকার আল আমিনের নের্তৃত্বে এ মশাল মিছিলে ৮/১০ জন ছিল বলে আটককৃতরা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়। বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ শওকত ও সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, রাজনীতির নামে কেউ অগ্নি সন্ত্রাসী করলে সে যেই হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় নেই। অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে কেন মশাল মিছিল করবে। তাদের ধরে থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে আর কে কে ছিল তাদের বের করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবে। মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল বলেন, দেশের শান্ত পরিবেশকে কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করলে এক বিন্দু পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। ওরা চোরের গুপ্ত হামলা/ মিছিলের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী করে। ওরা জানে না প্রশাসনের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরাও রাজপথে আছে ও থাকবে। কোন অগ্নি সন্ত্রাসী কারো আপন বা আত্মীয় হতে পারে না। তাদের একটাই পরিচয় তারা অগ্নি সন্ত্রাসী।
চলমান প্রেক্ষাপটে মদনগঞ্জ -মদনপুর মহাসড়কের বাগবাড়ি এলাকায় গত রোববার ও সোমবার রাতে মশাল মিছিল করে। বাগবাড়ি হাসপাতালের সামনে রোববার রাতে হঠাৎ মশাল মিছিল করে। একই স্ট্যাইলে সোমবার রাতেও মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। তারপর থেকে পুলিশের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা একটু সজাগ দৃষ্টি দেয়। যার ফলসূতিতে বুধবার রাতে মশাল মিছিল পূর্বক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া করে সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক (নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড) জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা, সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সরকারদলীয় নেতাদের দাবী, এলাকার কোন নেতা বা অগ্নি সন্ত্রাসীদের আস্ফালন ছাড়া অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন দেয়নি। স্থানীয় ইন্দনদাতাদের বের করার জন্য পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সরকার দলীয় নেতারা আটক করে। তারা খবর দেয়ার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে তাদের নিয়ে আসে। তবে এর সাথে আর কে বা কারা ছিল তাও বের করা হবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আটককৃতরা থানা হাজতে ছিল।